পাথরঘাটায় নৌকা সমর্থকদের হামলায় জাতীয় পার্টির ১০ নেতা-কর্মী আহত

আকন মোঃ বসির
আকন মোঃ বসির, প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১১:০২ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

হামলায় আহত জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীপাথরঘাটা উপজেলার বাইনচটকী ফেরীঘাট এলাকায় নৌকা সমর্থকদের হামলায় জাতীয় পার্টির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫জনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বাইনচটকী ফেরীঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে জানান, বরগুনা-২ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্জ মিজানুর রহমানের সমর্থনে নেতা-কর্মীরা প্রচারণার জন্য পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। দুপুরে বরইতলা থেকে ফেরীতে বাইনচটকী এলাকায় পৌঁছুলে নৌকার সমর্থিতরা অতর্কিতে তাঁদের গাড়ি বহরে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ বাঁধা দিতে চেষ্টা করলেও পুলিশি বাঁধা উপক্ষো করে নৌকা সমর্থিতরা লাঠিসোটা নিয়ে জাতীয় পার্টির সমর্থকের উপর হামলা চালায়। নৌকা সমর্থিতদের তোপের মুখে এক পর্যায়ে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ফেরীযোগে দ্রুত নদীর পাড় হয়ে বরইতলা ফিরে আসে।

এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হদয়, শুভ, লালচাঁদ, সবুজ রাসেল খান, ও নাসরুল ইসলামকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকৎসা নিয়েছেন।

বরগুনা জেনারেল হাসাপতালের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, হৃদয়ের মাথায় ভারি কোনো বস্তুর আঘাত লেগেছে। এছাড়াও শুভর নাকে ও লালচাঁদের কানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আমরা যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বরগুনা-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্জ মিজানুর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে নৌকার মনোনীত প্রার্থী শওকত হাচানুর রহমান রিমনের সর্মথকরা আমার লোকের উপর হামলা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এর ন্যায্য বিচার দাবি করছি। নির্বাচনি পরিবেশ অসহিষ্মু করে তুললে কারও জন্য মঙ্গলজনক হবেনা।

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার মনোনীত প্রাথী শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, আমার কোনো সমর্থক কারও উপর হামলা করেছে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। জাতীয় পার্টির সমর্থকরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে প্রচারণায় চালায়, যা নির্বাচনী আচরণববিধির সুষ্পষ্ট লংঘন। মহড়া দিতে গিয়ে হয়ত দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে, যা তিনি আমার কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন। আমি অত্যন্ত শান্তিপূর্নভাবে আমার নেতা-কর্মীদের প্রচারণার নির্দেশ দিয়েছি।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হানিফ সিকদার বলেন, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ উপস্থিত ছিল। উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তবে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের নিয়ন্ত্রনে উভয়পক্ষ পরবর্তিতে যে যার মত স্থান ত্যাগ করেছে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৫ ডিসেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)