পটুয়াখালীতে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, আটক ৮

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯

ছবিঃ সংগ্রহীতপটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে জমির বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নিয়েছে এক সন্ত্রাসী।

সোমবার (২৪ জুন) সকালে ওই সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, সেরাজ হাওলাদার (৬০),আবু বকর (২৫), মাকসুদা বেগম (৩৫) সহিদুল (১৮), বিউটি বেগম (৪৫), হালিম হাওলাদার (২০),অলিল (১৫), মনোয়ারা (৭০), নাজমা (৩৫), ইমরান (২০), কামাল (৪৫), আলম (৫২), মকবুল (৬০), দুলাল (৩৫), নিলুফা (৪০)ও নূরভানু (৫৫)।

আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর জখম অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে শুরু হওয়ার সংঘর্ষের ছয় ঘণ্টা পর ওই সন্ত্রাসীর বাড়ির একটি নারিকেল গাছ থেকে গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার করে এবং সন্দেহভাজন আটজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড় ডালিমা গ্রামের হাকিম হাওলাদার গংদের সঙ্গে একই বাড়ির কামাল হোসেন গংদের ১৯ একর ৫৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

আজ সকালে ওই জমিতে কামাল হোসেন গংরা প্রায় ২৫-৩০ জন লোক এবং ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে যায়। হাকিম হাওলাদার গংরা জমি চাষে বাধা দিতে গেলে তাদেরকে জমির কাছে না যাওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

হাকিম হাওলাদার এ ঘটনা বাউফল থানায় জানালে ঘটনাস্থলে তিনজন পুলিশ গেলে কামাল হোসেনের পক্ষের ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম পুলিশের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয় এবং তার সঙ্গে থাকা মৃত আবদুল আলীর ছেলে ফিরোজ হাওলাদার মাঈনুদ্দিন নামে এক এএসআইয়ের কোমর থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বাউফল থানার পুলিশ এ ঘটনা জানতে পেরে ওসি খন্দোকার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিশাল এক পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চালায়। এসময় দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর দুপুর একটার দিকে ফিরোজের বাড়ির একটি নারিকেল গাছ থেকে লুণ্ঠিত গুলি ও পিস্তল উদ্ধার করেন।

এদিকে জমির বিরোধে পুলিশের সামনেই চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৬ জন আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর থেকে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হাসান বাউফলে অবস্থান করছেন। ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।’

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)