পাথরঘাটায় ছাত্রলীগ নেতার মাদক সেবনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বরগুনা পাথরঘাটার চারদিকে দেখা মিলেছে প্রকাশ্যে ইয়াবা মাদক সেবনের দৃশ্য। আর এই সকল ভাইরাল হওয়া ছবি ভিডিও দেখেও প্রশাসনের নিশ্চুপ ভাষ্য অনেকটাই সামাজের আগামী প্রজন্মকে বিপদগ্রস্ত করেছে বলে মনে করেন অনেকেই।

প্রকাশ্যে মাদক সেবন এমনি এক ছবি বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
যেখানে দেখা যাচ্ছে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার এক যুবক প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছেন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন তকদির পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওর্যাড়ের গোলবুনিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে এবং পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
পাথরঘাটায় ছাত্রলীগ নেতার মাদক সেবনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল
খোজ নিয় জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল মামুন তকদির ছাত্রলীগর নাম ব্যবহার কর দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসলেও তার বিরুদ্ধ কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

এক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন তকদির এর বিরুদ্ধ একাধিক মামলা এবং একাধিক সাধারণ ডায়রী থাকলও অজ্ঞাত কারনে তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিচ্ছেননা প্রশাসান।

সম্প্রতি এর কিছুদিন আগে দৈনিক সংবাদ’ বরগুনার পাথরঘাটা উপজলা প্রতিনিধি ও পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর ইকবালকে এই সকল মাদক ব্যাবসার খবর প্রকাশ না-করার জন্য আব্দুল্লাহ আল মামুন তকদির ভবিভিন্ন রকমের হুমকি দেয় এই নিয়ে পাথরঘাটা নিউজেও সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাফর ইকবাল জানান, রায়হানপুরে মাদকের কথা শুনে সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তগদির আমাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে আমি পাথরঘাটা থানায় মামলাও করেছি। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

তবে তার এমন ছবি ভাইরাল হওয়ায় একাধিক আওয়ামী লীগের নেতারা অনেকটাই ছাত্রলীগকে দায়ী করে অনেকেই বলেন, এই সকল মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক আসক্তদের দলে জায়গা দিয়ে দলের নাম খারাপ করার কোন অধিকার কারো নেই।

নাম না প্রকশের শর্তে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের এক সদস্য জানান, তকদির বেশ কয়েকদিন যাবত এইসব করে আসছে। আমার মনে হয় এই সকল ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ অবগত নয়। খুব শিগ্রই এই সকল ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ছাত্রলীগ তার আস্থা হারাবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)