পাথরঘাটা-কাকচিড়া-মঠবাড়িয়া সড়ক এখন মরন দশা! ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ০৯:২৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

উপকূলীয় উপজেলা বরগুনার পাথরঘাটার সঙ্গে নদী ও স্থলপথে যোগাযোগের মাধ্যম থাকলেও দূরত্ব ও সময়ের দিক বিবেচনায় সড়ক পথকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। পণ্য পরিবহনেও এ অঞ্চলে সড়ক পথের গুরুত্ব অনেক। রাজধানী থেকে পাথরঘাটার সঙ্গে স্থলপথে যোগাযোগের অন্যতম হচ্ছে মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা মহাসড়ক। তার সঙ্গে রয়েছে পাথরঘাটা-কাকচিড়া হয়ে বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক।

এ দুই সড়কের পাথরঘাটা অংশের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের কারণে বর্তমানে যান চলাচলে যেমন বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি নাকাল হচ্ছেন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। এতে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর বৃষ্টি-কাদায় একাকার এবং শুকনো মৌসুমে ধুলায় অন্ধকার হয়ে যাওয়া সড়কে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে। গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে পাথরঘাটা-কাকচিড়া সড়কের কালমেঘা ইউনিয়নের ছোটপাথরঘাটা সড়কে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। পথচারীদের দুর্ভোগ লাঘবে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার মাঝে বেড়া দিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া সড়কের পাথরঘাটা অংশ এবং পাথরঘাটা নতুন বাজার ব্রিজ এলাকা থেকে পাথরঘাটা-কাকচিড়া-আমুয়া সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়তই বিকল হচ্ছে যানবাহন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। প্রতিবছর একই এলাকার রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সরকার কর্তৃক পুনঃ মেরামত করলেও আবারও খানাখন্দ তৈরী হয়।

পাথরঘাটা কলেজের শিক্ষার্থী মামুন, রাসেল বলেন, আমাদের সব সময় এই সড়ক দিয়েই চলাচল করি, কখনোই দেখলান না যে এই সড়কটি ভাল করে কাজ করেছে। এখন কলেজে যেতে খুব ভয় হয় কারন বাড়ি থেকে বের হলেই রাস্তার যে অবস্থা তাতে কখন দুঘটনায় পরি। অনেক সময় কলেজে যাবার জন্য আলাদা কাপর নিয়ে যেতে হয়। কাদায় কার নস্ট হয়ে গেলে ওই কাপর পরি। আবার কখনো কখনো কলেজে যাই না, গেলে কখন দুঘটনায় পরে বড় ধরনের বিপদ হবে এই ভয়ে।

মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা নাজমুল আহসান, আব্দুল জলিল, জয়নাল আবেদীন ও সোহরাবসহ বেশ কয়েকজন পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, প্রতিবছর বৃষ্টির দিনে কাদায় চলাচল করাতো যায়ই না, বিভিন্ন খানাখন্দে গাড়ি আটকে পড়ে। কিছুদিন পরপর নামেমাত্র ইট ও বালি দিয়ে মহাসড়কের গর্ত মেরামত করা হলেও সামান্য বৃষ্টিতে সেগুলো উঠে গিয়ে পুরনো খানাখন্দ দৃশ্যমান হয়। মাঝে মধ্যে কাজ করলেও আবার একই অবস্থা দাঁড়ায়।

পাথরঘাটা-কাকচিড়া সড়কের মাদিন্দ্রা ড্রাইভার শফিক, রাসেল পাথরঘাটা নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে এই সড়কের ভাঙ্গা রাস্তা ফেলে রাখায় অধিকাংশ স্থানের মূল সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। কবে নাগাদ পুরো কাজ সম্পন্ন হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। ফলে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির সাংবাদিকদের বলেন, খুব তাড়াতাড়ি খানাখন্দে খোয়া ফেলানোর জন্য কাজ শুরু হবে। পুনঃমেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বরগুনা সড়ক ও জনপদের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন পাথরঘাটা নিউজকে জানান, সড়ক ও জনপদের সাথে ঠিকাদারের যে চুক্তি তাতে তারা ২০২০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করবে। সড়কের বর্তমান যে অবস্থা তা আগামী ২ মাসের মধ্যে কাজ করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)