বামনায় নিখোঁজ কমলকান্তির সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ০৫:০০ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

কমলকান্তির সন্ধান দাবিতে মানববন্ধনবরগুনার বামনা উপজেলার দক্ষিণ কাকচিড়া গ্রামের কমলকান্তি নিখোঁজ হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ওই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কমলের দ্রুত সন্ধান চেয়ে নিখোঁজ এর গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ কাকচিড়ার পাথরঘাটা-বামনা মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে করেছে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বামনা উপজেলা হিন্দু বৈদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানিক কুমার পঙ্কজ, এলাকাবাসীর পক্ষে কবীর হোসেন, নিখোঁজ কমলকান্তির বাবা রণজিৎ চন্দ্র হাওলাদার, স্ত্রী অনিতা রানী।

নিখোঁজ কমলকান্তির স্ত্রী অনিতা রানী বলেন, আমার স্বামীকে আপনারা খুঁজে দেন। আমার শিশু সন্তান তার বাবার জন্য সারাক্ষণ ব্যাকুল থাকে। আপনার যেখান থেকে পারেন আমার স্বামীকে এনে দেন। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী নিখোঁজের পেছনে ইটভাটার মালিক মোস্তফা ফকিরের হাত রয়েছে। তার অনেক টাকা পয়সা থাকায় কেউ আমার কথা শোনে না। আপনারা ভাটা মালিককে আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে বলেন।

উল্লেখ্য, মো. মোস্তফা ফকির এর মা ব্রিকস ২ নামে ইটের ভাটায় কমলকন্তি ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার ভাটার কিছু প্রয়োজনীয় মালামাল কেনার জন্য বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ওই দিন রাত ১১টা ৫৬ মিনিটের সময় মাওয়া ফেরিঘাটে পৌঁছান। পৌঁছে পরিবার, ভাটা মালিক ও বিভিন্ন পরিচিতজনের সাথে মোবাইলে কথা বলেন। তবে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪২ মিনিটের পর ওই নম্বরটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় শিবচর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন ভাটা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও নিখোঁজের স্ত্রী বরগুনা কোর্টে এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুনঃ বামনায় ইটভাটার ম্যানেজারের সন্ধান নিখোঁজের ১৪ দিনেও মেলেনি

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)