তালতলীতে তিন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীকে পিটিয়ে জখম

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:৩২ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮

আহত আবু হাসানতালতলি প্রতিনিধিঃ
দৈনিক আমার সময় এর বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ও জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি’র বরগুনা জেলার প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু হাসান দায়িত্ব পালন কালে তাকেসহ ৩জনকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে প্রতিপক্ষ ফজলু হাওলাদার ও তার লোকজন।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া কিল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার নলবুনিয়া কিল্লা গ্রামের ফজলু হাওলাদারর ও আবু বক্কর শরীফদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ জমি নিয়ে ইতিপূর্বে কয়েক দফায় হামলা ও মামলা হয়েছে। আবু বক্কর শরীফ তার জমি বুঝিয়া পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া অভিযোগের এক অনুলিপি নিয়ে মঙ্গলবার ১১টার দিকে বরগুনা জেলা জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি’র সাধারণ সম্পাদক একেএম আনোয়ারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক আমার সময় এর জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু হাসান, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির সার্ভেয়ার মোঃ গনি খান ও গন সংযোগ কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র মাঝি তালতলী থানাকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে খাস ও রেকর্ডীয় জমির সীমানা নির্ধারন নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে তর্কের এক পর্যায় ফরিদ মৃধা, হারুন মৃধা, রহিম মৃধা ও রেজাউলসহ ১০/১২জন লোক তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে। এতে ঐ সাংবাদিক আবু হাসান এবং বাদী আবু বক্কর তার পক্ষের কামরুল হাসান মারাত্মক যখম হন।

এ সময় ঐ সাংবাদিকের স্যামসং মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ভেঙ্গে যায় এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় আহতদের তালতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন।

তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান,  মানবাধিকার কর্মীরা সকালে থানায় অবহিত করে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সাংবাদিক আহতের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযুক্তদের মধ্যে মোবাইল ফোনে (০১৭২৭-৪০০৬৭১ নাম্বারে) রহিম মৃধাকে পাওয়া গেলেও সে কথা না বলে তার স্ত্রীর কাছে দিয়েছেন।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৩ মার্চ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)