পাথরঘাটায় অপপ্রচারে দাম বৃদ্ধি, লবন কেনার হিরিক (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১২:২৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৯


পেঁয়াজের বাজারের উর্ধ্ব গতির রেস কেটে ওঠার আগেই শুরু হয়েছে লবন আতঙ্ক। বরগুনার পাথরঘাটা পৌরশহরে গুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। পাথরঘাটা পৌরশহরে এই লবনের গুজবের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন মাইক দিয়ে প্রচার করে কাউকে কর্নপাত করতে নিশেদ করেনে বলেও উপজেলা প্রশাসন থেকে সাংবাদিকদের জানান।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গুরে দেখা গেছে প্রত্যেক ক্রেতারা ৫ থেকে ১৫ কেজি করে লবন ক্রয় করছে। সকাল থেকেই লবনের দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে পরছে এমন খবরে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজাররের ভোগ্যপণ্যের দোকানগুলোতে। এখবর শুনেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির উপজেলার প্রত্যেকটা বাজারে মনিটরিং করে দেখছেন বলেও জানান।

কোহিনুর বেগম জানান, পিয়াজ ছারা তরকারি রান্না করা যায়, কিন্তু লবন ছারা তরকারি রান্না যায়না। তাই দাম বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ৮ কেজী লবন কিনেছি। তিনি আরো জানান, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ দাম বেড়ে গেলে কোন কিছুই কেনা হয়না আমাদের। তাই পিঁয়াজের মতো লবনের দাম বেড়ে যাওয়ার আগেই লবন কিনে নিয়েছি।

তারা আরো জানান, পেঁয়াজ ক্রয় করতে গেলে দোকানীরা প্রতি কেজিতে অনেক বেশী দাম রেখেছে। তাই আমরা বুজতে পেরেছি লবনের দাম বেড়ে যেতে পারে। তাই বেশী বেশী লবন ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।

পৌরশহরের ব্যাবসায়ী মুনছুর মিয়া, জাকির হোসেন, আলমগীর জানান, তারা এর আগে প্রতি দিন ২০ থেকে ৩০ কেজি লবন বিক্রি করে আর আজ প্রায় ৫শ কেজি লবন বিক্রি করেছে বলেও জানান।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, একটি কুচক্রী মহল পাথরঘাটা শহরে লবণ বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে। এগুজবের জন্য বোজারে মাইকিং মাইকিং করানো হচ্ছে। প্রেত্যেকটি বাজারে গুরে গুরে মনিটরিং করতেছি যাতে করে সাধারন মানুষ বিভ্রান্তিতে না পরে। ধারনা করা হচ্ছে এগুলো কোন স্বার্থন্বেসী মহল গুজব ছরাচ্ছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির জানান, পাথরঘাটা অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করার অভিযোগে বিকেল থেকেই বাজারে অবস্থান করতেছি। পৌরশহর থেকে ২ গাড়ি লবন জব্দ করা হয়েছে। খোজ নিয়ে দেখতেছি এই লবন গুলো মজুদ করে রাখার জন্য নিচ্ছিল কিনা।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)