জাতীয় প্রোগ্রাম অংশ নেয়নি পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগ, দিয়েছে ভিন্ন কর্মসূচি
মহান বিজয় দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠান বর্জন করেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। তারা সরকারি প্রোগ্রামে অংশ না নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিজয় দিবসের ভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
সরকারি প্রোগ্রামে অংশ না নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ভিন্ন কর্মসূচি পালনের কারন জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে উপজেলা নির্বাচন করেছেন এবং তার বাবার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার অভিযোগ থাকায় আমরা তার আয়োজিত বিজয় দিবস অনুষ্ঠান বর্জন করেছি। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করেছি।
এদিকে, পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বিজয় র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন, ডিসপ্লে, শারীরিক কসরত সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করছে।
এ সময়ে বিজয় দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির, পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মণ্ডল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ও জেলা পরিষদের সদস্য এমএ খালেক, মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার অভিযোগ- আমার বাবা রাজাকার। কিন্তু রাজাকারের কোন তালিকায় আমার বাবার নাম নেই।
তিনি আরো বলেন, আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। দলীয় সিদ্ধান্তে আমি নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়ার কারণে একটি মহল আমাকে কোনঠাসা করতেই আমার বাবাকে রাজাকার উপাধি দিচ্ছে। আমি শান্তিপূর্ণভাবেই সকলের সহযোগীতায় জাতীয় প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছি।
এ দিকে বিজয় দিবসে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পাথরঘাটা শহরে। সাদা পোশাকধারী, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ লক্ষ করা গেছে।