মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির নাম রাজাকার তালিকায় পাথরঘাটায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিমুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোগী ও পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মজিবুল হকের নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার সময় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পরে সাড়ে ১১টার দিকে পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্কয়ারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সাইদুল কবির ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মল্লিক মো. আইউব, পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

পাথরঘাটা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. জাবির হোসেন বলেন, মুজিবুল হকের নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার নাম যদি রাজাকারের তালিকা থেকে বাদ দেয়া না হয় তাহলে আমরা এর প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করবো।

পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মজিবুল হক সাহেব তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এবং তৎকালীন থানা আ.লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সে কখনো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেননা।

মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক জানান, মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মজিবুল হক যখন রাজাকারের তালিকায় এসছে তাহলে আমিও একজন রাজাকার। এরকম ভুল কিভাবে হয় আমার জানানাই। এরকম একটি নিন্দনীয় কাজের জন্য মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)