কলাপাড়ায় নববধূর মাটিচাপা দেয়া লাশ উদ্ধার

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ২২ জানুয়ারী ২০২০

নবধুর লাশ উদ্ধারপটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামরবুনিয়া গ্রামের একটি বিল থেকে মোসা. চম্পা বেগম (৩২) নামের এক নববধূর মরদেহ মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপ দাসের উপস্থিতিতে কলাপাড়া থানা পুলিশ নিহতের স্বামী মো. বাবুল হাওলাদারের বাড়ির নিকটস্থ বিল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর থেকে বাবুল হাওলাদারের বাড়ির সকল সদস্য পলাতক।

নিহতের স্বজন মো. জসিম সিকদার জানায়, কলাপাড়ার চাকাইময়া ইউনিয়নের গামরবুনিয়া গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে গত ১ জানুয়ারি পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের চান মিয়া সিকদারের একমাত্র কন্যা চম্পার বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে বাবুল হাওলাদার নববধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর থেকে চম্পা নিখোঁজ হয়। ১৪ জানুয়ারি তালতলী থানায় চম্পার পিতা একটি সাধারণ ডায়েরি করে। চম্পা নিখোঁজ থাকার আট দিন পর বুধবার স্থানীয় গ্রামবাসী বিলে গরু চরাতে গিয়ে শিয়াল-কুকুড়ে মাটি খুঁড়ে ফেলায় চম্পার মরদেহের অস্তিত্ব দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কলাপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিহতের পিতা মো. চান মিয়া সিকদার জানায়, তার একটি মাত্র কন্যার সুখ-শান্তির চিন্তা করে বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে। তার আদরের কন্যাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছে আসামিরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন তিনি।

চাকামাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন করিব কেরামত জানায়, এটি একটি জঘন্য ঘটনা। আমি পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করব এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানায়, সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত চম্পার পিতা বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মামলার আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)