মঠবাড়িয়ায় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় পুলিশ স্বামী জেল হাজতে

নোমান আল সাকিব
নোমান আল সাকিব, ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৮

---
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)।। দাবীকৃত ৫লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীর ওপর অমানষিক নির্যাতনের অভিযোগের মামলায় পুলিশ স্বামী এখন জেল হাজতে। নির্যাতিত ওই গৃহবধু নাসরিন আক্তার (২১) গত ৭ মার্চ বাদী মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) পাষন্ড পুলিশ স্বামী সেফাতুল্লাহ (২৮) (কনষ্টেবল) কে গ্রেফতার করে আজ আদালতে প্রেরণ করেন।বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিনের একমাত্র কন্যা ও সাফা ডিগ্রি কলেজের স্মাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার এর সাথে ২০১৪ সালে উপজেলার ধুপতী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র বরগুনা পুলিশ লাইনসের কনষ্টেবল সেফাতুল্লাহর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় শ্বশুর জামাই সেফাতল্লাহকে ৩ লাখ টাকার মালামাল ও স্বর্ণালংকার দিয়ে মেয়েকে তুলে দেয়।

বিয়ের বছর খানের পরে তাদের একটি কন্য সন্তান জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর থেকেই স্বামী সেফাতাল্লাহ স্ত্রীর কাছে একটি পালসার মোটরসাইকেলের দাবী করে স্ত্রীর ওপর শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নাসরিনের মা জামাইকে প্রায় ২ লাখ টাকায় একটি পালসার মোটরসাইকেল কিনে দেয়। এর পরেও পুনরায় জামাই সেফাতুল্লাহ শ্বশুরের কাছে ৫ লাখ টাকার যৌতুক দাবী করে।

এ ব্যাপারে গত ৭ মার্চ নাসরিন বেগম বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুরসহ ৪জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে বরগুনা পুলিশের সহযোগিতায় সেফাতুল্লাহকে ওই মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

নির্যাতিত ওই গৃহবধু জানান, আমার অনুমতি না নিয়ে সেফাতুল্লাহ আমতলী থানার বাসুকী গ্রামের হারুন হাওলাদারের কন্যা হাফসা বেগমকে ২য় বিয়ে করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এস.আই শাহাবুদ্দিন স্ত্রীর যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্য সেফাতল্লাহ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এন এ এস/পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)