সড়কে দূর্নীতি করতে গিয়ে সাধারণ জনতার ঝাড়ু পেটা ও ঘন ধোলাই খেলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সড়কে দূর্নীতি করতে গিয়ে সাধারণ জনতার ঝাড়ু পেটা ও ঘন ধোলাই খেলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান
পাথরঘাটা-ঢাকা মহা সড়কের নির্মাণ কাজে অনিয়ম করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বরগুনা-২ সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন। এসময় উৎসুক জনতা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মাসুম ও বরগুনা সড়ক ও জনপদের এসও তাইজুল ইসলামকে ঝাড়ু পেটা ও চড় থাপ্পর দেয়।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে পাথরঘাটা-ঢাকা মহাসড়কের সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের পুর্ব হাতেমপুর গ্রামের কাজী বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, রায়হানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপক, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

এর আগে সাংসদ রিমন পাথরঘাটা বেড়িবাধে স্লুইজের কাজ পরিদর্শন শেষে পাথরঘাটা পৌর শহরে আসার পথে সড়কের কাজে অনিয়ম দেখায় কাজ বন্ধ করে দেন।

জানা যায়, পাথরঘাটা-ঢাকা মহা সড়কে পাথরঘাটা থেকে কেরামতপুর ১১ কিলোমিটার সড়কে নির্মাণের কাজ চলছে। সড়ক ও জনপদের নিয়ন্ত্রনাধীন ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ কাজ তমা কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আবু হানিফ নামে একটি প্রতিষ্ঠান সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করছে। ওই কাজে সিলেটচান বালু ও টোপ বালু দেয়ার কথা থাকলেও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার না করে লোকাল বালু ব্যবহার করে।

সাংসদ রিমন হঠাৎ পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পুর্ব হাতেমপুর গ্রামের কাজি বাড়ি এলাকায় পরিদর্শন করলে প্রমান পাওয়ায় কর্মরত কর্মকর্তা মাসুমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেনি, পরে বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের এসও তাইজুল ইসলাম আসার পরে তাকে কাজে অনিয়মের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও কোন সদোত্তার দিতে না পারায় উৎসুক জনতা প্রথমে থাপ্পর পরে ঝাড়ু দিয়ে পিটায়। এসময় সাংসদ রিমন থামিয়ে দেয়।

সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পাথরঘাটা-ঢাকা মহা সড়কে ১৮ কোটি টাকায় ১১ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান। এ কাজে সিলেট চান বালু ও টোপ বালু দেয়ার কথা থাকলেও লোকাল বালু দিয়ে কাজ করছে তমা কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া পাথর নিম্নমানের হওয়াতে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরেজমিনে সিলেটচান বালুর কোন অস্তিত্তই পাইনি। লোকাল বালু ও নিম্নমানের পাথর দিয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক কস্ট করে সরকারের কাছ থেকে কাজ আনা হয়েছে, এ কাজে এতো দুর্ণীতি আর ফাঁকি বাজি হলে কয়েকমাস যেতেই আবারও কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ণীতি সহ্য করবেন না। আমিও এ দুর্ণীতি সহ্য করবো না, এ জন্যই কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পুনরায় রিপিয়ার না করা হয়।

এ বিষয় সাব ঠিকাদার মো. আবু হানিফ মুঠোফোনে বলেন, আমরা সিলেটচান বালু সহ সঠিকভাবেই কাজ করি। আমরা কোন অনিয়ম করছিনা।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)