পাথরঘাটায় ১৮ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! তদন্তে মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত দুই সচিব

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | আপডেট: ০৬:৪৫ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজবরগুনার পাথরঘাটা-ঢাকা মহা সড়কে ১৮ কোটি টাকা বাজেটে ১১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব শামিমউজ্জামান ও রওশন আরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তারা।

এ সড়ক নির্মাণে সিলেটের চান বালুর পরিবর্তে লোকাল বালু ও এগ্রেড পাথরের পরিবর্তে নরমাল পাথর দিয়ে কাজ করছিলো তমা কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি কাজ বন্ধ করে দেন বরগুনা-২ সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন।

এ নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বেলা দুইটায় দিকে পাথরঘাটা ঢাকা মহাসড়কে তদন্তে আসেন সড়ক মন্ত্রনালয়ের এ দুই অতিরিক্ত সচিব।

এ সময় উপ-সচিব শামিমউজ্জামান জানান গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতেই আমরা তদন্তে এসেছি। স্থানীয় এমপি বা অন্য কেউ তাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তিনি আরো বলেন আমরা বালুও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করেছি পরিক্ষা করে দেখা জন্য।

অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সরজমিন প্ররিদর্শন করতে এসেছি যাতে সরকারের কোনো অর্থ অযথা নষ্ট না হয়। তিনি আরো বলেন এই কাজের ঠিকাদার কে সঠিক ভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য বলা হয়ছে। কাজে কোন প্রকার অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে ছাড় দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সড়ক ও জনপদের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলি ফজলে রাব্বী, বিভাগীয় প্রকৌশলি সুশীল কুমার সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলি কামরুজ্জামান, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক সেলিম প্রমুখ।

উল্লেখ: পাথরঘাটা-ঢাকা মহা সড়কে পাথরঘাটা থেকে কেরামতপুর ১১ কিলোমিটার সড়কে নির্মাণের কাজ চলছে। সড়ক ও জনপদের নিয়ন্ত্রনাধীন ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ কাজ তমা কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আবু হানিফ নামে একটি প্রতিষ্ঠান সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করছে। ওই কাজে সিলেটেরচান বালু ও টোপ বালু দেয়ার কথা থাকলেও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার না করে লোকাল বালু ব্যবহার করে।

সাংসদ রিমন হঠাৎ পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পুর্ব হাতেমপুর গ্রামের কাজি বাড়ি এলাকা থেকে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের অভিযোগে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করলে অনিয়ম প্রমান পাওয়ায় কর্মরত কর্মকর্তা মাসুমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেনি, পরে বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের এসও তাইজুল ইসলাম আসার পরে তাকে কাজে অনিয়মের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও কোন সদোত্তার দিতে না পারায় কাজ বন্ধ করে দেয়।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)