মঠবাড়িয়ার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২০

ছবিঃ সংগ্রহীতমঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে.এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে স্কুলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের আবুল কালাম নামে এক দাতা সদস্য মঙ্গলবার (১০মার্চ) মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত শুনানী শেষে উপজেলা চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে আগামী ২৮ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, প্রতি দুই বছর পর কেএম লতিফ ইনস্টিউশনের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দাতা সদস্য ভোটার হিসেবে জন প্রতি ২০ হাজার টাকা ব্যাংক রিসিভের মাধ্যমে জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে । সে অনুযায়ী দাতা সদস্য ভোটার হতে ১৩জন আবেদনকারি ৬ মাস পূর্বে (৭ অক্টোবর‘১৯) স্থানীয় ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-৩১৬৪ নম্বরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা দিয়ে রসিদ গ্রহণ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ব্যাংক হতে সমুদয় অর্থ তুলে নিয়ে স্কুল ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেন। এতে সম্প্রতি স্কুলের নির্বাচনে প্রণয়নকৃত ভোটার তালিকায় ভূক্তভোগি ১৩ জন দাতা সদস্য অন্তর্ভূক্ত হতে ব্যর্থ হন। গত ২৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ ১৪৩ জনের দাতা সদস্যের তালিকা প্রকাশ করলে সেখানে মামলার বাদিসহ ১৩ জনের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়নি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামলাটি মিথ্যা দাবি করে বলেন, মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে তার স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট কাগজ পত্র যথা সময়ে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। প্রতিষ্ঠানের যৌথ একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করার কোন একতিয়ার আমার নাই।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর বলেন, প্রধান শিক্ষককে সামাজিকভাবে হেয় ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য মুলক ভাবে একটি মহল মামলাটি করেছে।

উল্লখ্য- গত ২ মার্চ ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী মঠবাড়িয়ার লতিফ ইনস্টিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার শেষ মূহুর্তে এসে ভোটার তালিকায় অনিয়ম ও শান্তি শৃংখলার অভিযোগ তুলে নির্বাচন বন্ধে হাইকোর্টে একটি রীট আবেদন জানালে হাইকোর্ট নির্বাচনের একদিন আগে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিতাদেশ দিলে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)