পাথরঘাটায় স্কুলের খেলার মাঠ কেটে পুকুর খনন (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ০৪:৫১ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২০


বরগুনার পাথরঘাটায় ৩৯ নং জ্বীনতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে অবৈধ এস্কেবেটর (বেকু মেসিন) দিয়ে পুকুর খনন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ জামাল হোসেন দখল কারীদের সাথে থেকে খনন কাজ করান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩৯ নং জ্বিনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে স্কুলের পাশ্ববর্তী খালেক মুন্সি ও তার ছেলে রফিকুল ইসলাম ছেলে গত মঙ্গলবার এস্কেবেটর দিয়ে পুকুর খনন করেন। এছাড়াও পুকুরের চার পাশে জাল দিয়ে বেড়া দিয়েছে সবজির গাছও রোপন করা হয়েছে। ওই জমি বিদ্যালয়ের নামে হওয়া স্বত্বেও এ রকমের পুকুর খনন করায় এলাকাবাসির মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের কচিকাচা শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে।

আরো জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের জমি প্রায় ৪০ বছর আগেই বিষখালী নদীতে ভেঙে বিলিন হয়ে হওয়ায় অন্যের জমিতে ভবন নির্মান করা হয়েছে। সেই ভবনের জমি নিয়ে দুইক্ষের বিরোধ চলে আসছে।

এ ঘটনার পরে বিদ্যালয়ের পক্ষে জমিদাতার পুত্র মো. ইমসাইল হোসেন খান উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শহিদ খান ও জমিদাতার পুত্র মো. ইসমাইল বলেন, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে পুর্ব থেকে বিরোধ আছে। বিদ্যালয় ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায়তে ইতোমধ্যেই নতুন ভবন অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় রফিক ও তার বাবা খালেক মুন্সি ওই জমি দখলে নিতেই মাঠে পুকুর খনন করেছে এবং পুকুরের চারপাশে বেড়া দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেছে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমেনা, রুকাইয়া, সোহেল, জুবায়ের বলে, মাঠে পুকুর কাটার কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়েছে, পাশাপাশি ঝূকির মধ্যে থাকি।

এ বিষয় অভিযুক্ত আ. খালেকের মুঠোফোনে কলা করা হলে তিনি কিছুক্ষণ পর দেখা করবে বলে ফোন কেটে দেয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জামাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে পাঠদান ঝূকিপুর্ণ হওয়াতে ঘর উত্তোলনের জন্য মাটি কাটা হয়েছে। পুকুর খনন ও বেড়া দেওয়ার বিষয় তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.গোলাম হায়দার বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝূকি এড়াতে ভবনের পাশেই ঘর উত্তোলনের কথা বলেছি, কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠ কেটে পুকুর খননের বিষয় আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করে প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)