করোনা নিয়ে ৩ দিন জুতা বিক্রি পাথরঘাটা বাজার লকডাউন করলেন স্থানীয়রা

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ২১ মে ২০২০

করোনা নিয়ে ৩ দিন জুতা বিক্রি পাথরঘাটা বাজার লকডাউন করলেন স্থানীয়রা
বরগুনার পাথরঘাটায় করোনা আক্রান্ত এক দোকান মালিক সারাদিন জুতা বিক্রি করেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা খরিদ্দারদের কাছে। এতে করে কতোজন যে এ উপজেলায় সংক্রমণ তা নিয়ে চিন্তিত উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

এঘটনা কে কেন্দ্র করে পৌর শহরের জুতার দোকান গুলোকে সম্পুর্ন লকডাউন করে দিয়েছে পাথরঘাটার নাগরিক সমাজ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ গুলো লকডাউন করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাবির হোসেন।

জাবির হোসেন জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর পাথরঘাটার অনেক ব্যবসায়ী ঈদের বেচাকেনা করার উদ্দেশে ঢাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে মালামাল ক্রয় করে পাথরঘাটায় ফিরছেন। সেখান থেকে আসা এক দোকান মালিক ইতি মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে গোটা উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সকল জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় যদি বাজার খোলা থাকে তাহলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এ উপজেলায় কোন ভাবেই ঠেকানো সম্ভব না।

বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কর্মকার জানান, করোনার মধ্যে ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেকেই প্রকাশ্যে দোকানে বেচাকেনা করেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এদের মধ্যে সংক্রমিত জুতার দোকানের মালিকের নাম ও ছিল। যিনি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ও দোকানদারি করেছেন।

অরুণ কর্মকার জানান, করোনা পজেটিভ আসা দোকান মালিকের থেকে কতজন যে সংক্রমিত হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। প্রয়োজনে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আবারো পাথরঘাটা শহর লকডাউনের পক্ষে তিনি ও মত প্রকাশ করেন।

তবে স্থানীয় জুতার দোকান ব্যাবসায়ীরা জানান, কিছু অতিলোভী ব্যাবসায়ীরা ঈদের বাজারে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করতে ঢাকায় গিয়ে মালামাল ক্রয় করেছে। এর মধ্যে শুধু জুতা ব্যবসায়ীরাই না। কসমেটিকস গার্মেন্টসের ব্যাবসায়ীরাও রয়েছে। তারা তাদের দোকানগুলোকে লকডাউন দাবি করেন।

উল্লেখ্য, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর পাথরঘাটার অনেক ব্যবসায়ী ঈদের বেচাকেনা করার উদ্দেশে ঢাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে মালামাল ক্রয় করে পাথরঘাটায় ফিরছেন। এমন খবর পেয়ে পাথরঘাটা বনিক সমিতির পক্ষ থেকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের কাছে নয় জনের নাম উল্লেখ করে তাদের কোয়ারেইন্টান বাধ্যতামূলক করতে আবেদন করেন। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন না মেনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে তিন ধরে দোকান পরিচালনা করেন এক ব্যবসায়ী

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)