তিনি ঢাকায় গেলেও পাথরঘাটার সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের চাবি থাকে পকেটে!

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১২:৫৯ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঢাকায় অবস্থান করছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো. আবুল ফাত্তাহ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, গত ২৭ আগস্ট পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো. আবুল ফাত্তাহ ঢাকায় চলে যান। তার যাওয়ার সময় একাধীক চিকিৎসক চাবি রেখে যাওয়ার কথা বললেও তিনি চাবি পকেটে নিয়েই চলে গেছেন। এ নিয়ে চিকিৎসকসহ পাথরঘাটার রোগীরা চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত ও বিরম্বনায় পরছে। এই উপজেলার বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সে দিগুন ভারা দিয়ে যেতে হচ্ছে বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এনিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা স্থানীয় মানুষের রোষানলেও পরতে হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও কোন সদোত্তর দিতে পারেননি দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোগীর স্বজনরা জানান, তাদের এক আত্নীয় ১৪ বছেরের কিশোর ইতপূর্বে গলায় রশি দিয়ে আতœহত্যার চেস্টা করলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তখন তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসাক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তখন সরকারী এম্বুলেন্স খুজলে জানতে পারেন এম্বুলেন্সের চাবি টিএইচও সাহেব ঢাকা নিয়ে গেছেন।

এবিষয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বেরত চিকিৎসক শাহ মো. আমানত উল্যাহ জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ থাকার কারনে আমি সে সময় তাকে নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম। তবে সেই সময় রোগীর এক আত্নীয় কার সাথে যেন উচ্চবাচ্য কথা বলেছে। তবে কি নিয়ে কার সাথে কথা বলেছে তা আমার জানানেই।
পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারী এম্বুল্যান্সের ড্রাইভার মো. নাসির উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্সের চাবি স্যার আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছে আগেই, আমি চাবি স্যারের কাছে লিখিত ভাবেও চেয়েছি কিন্তু সে দেন নাই। চাবির ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সবাই জানে সে কিভাবে আমার কাছ থেকে চাবি নিয়েছে।

পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো. আবুল ফাত্তাহ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, চাবি আমার কাছে থাকার কথা না, চাবি ড্রাইভারের কাছে থাকে, তার কাছেই ছিল। ড্রাইভারের করোনা পজেটিভ থাকার কারনে প্রত্যয়ন পত্র দরকার ছিল, সে প্রত্যয়ন পত্রও দেয় নি। আর চাবির জন্য আবেদন করা দরকার ছিল তাও সে করেনি। সে বিভিন্ন স্থানে বলেছে চাবি আটকিয়ে রেখেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছে সে।
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মো. হুমায়ুন শাহীন খান মুঠোফোনে জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী এম্বুলেন্স চাবি নিয়ে ঢাকা যাওয়ার কথা আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।

আসুন এই অসহায় পরিবারের পাশে দাড়াই

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)