পাথরঘাটায় মাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা!

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৮:৫১ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজবরগুনার পাথারঘাটায় কীটনাশক প্রয়োগ করে এক মৎস্যচাষির পুকুরের সব মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

গত শুক্রবার (২৩ অক্টবর) মধ্যরাতের কোন এক সময় কাঠালতলী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, খবর পেয়ে খুব ভোরে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আমরা এসে দেখি পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। পুকুরের পানি থেকে কীটনাশকের গন্ধ আসে। কীটনাশকের প্রভাবে পুকুরে থাকা দেশি সব মাছ মরে গিয়েছে। এটা সুধু কীটনাশকের কারণেই হতে পারে।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, তাঁর বাড়ির পেছনে ৩ কাঠা আয়তনের একটি পুকুর আছে। যেখানে তিনি ২০১৮ সালে ৬০ হাজার টাকার রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়েন। গত ২ বছরে ৭০ হাজার টাকার খাদ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। ইতিমধ্যে মাছগুলো বিক্রির উপযুক্ত হয়ে উঠেছে। আশা ছিল এই মাছ বিক্রি করে ৩ লক্ষাধিক টাকা পাবেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তাঁর সব আশা নষ্ট করে দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুকুরের পানি থেকে কীটনাশকের গন্ধ আসে।আমার মনে হয় কীটনাশক দিয়ে পুকুরের আছ মারা হয়েছে।

এ বিষয় কাঁঠালতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। কিছু অষাধু চক্রের লোকজন শত্রুতার জেরে এমন নিশংস কর্মে লিপ্ত হয়।বিষয়টি প্রশাসনের কঠোরহস্তে দমন করা উচিৎ।

পাথরঘাটা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি। পুকুরের পানি সংরক্ষণ করা হয়েছে।পরিক্ষা করে কীটনাশকের প্রমান পাওয়া গেলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)