কেএম লতীফ এর প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজমঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:
পৌরশহরের ঐতিহ্যবাহী কে,এম, লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এর অনিয়ম, দুর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের বেতন ভাতার অংশ আটকে রাখার প্রতিবাদ ও তার অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১ নভেম্বর) সকালে শহিদ মিনার সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন।

মানববন্ধনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক খান মজনু, মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, ফারুক-উজ্জামান, মো. রফিকুল ইসলাম জালাল, আবুল বাশার মাতুব্বর, সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, বণিক সমিতির সভাপতি সামছুল আলম, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল ইসলাম বিএসসি, এনামুল হক, জায়েদা ইসলাম, ইন্দিরা রানী চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমল চন্দ্র হালদার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, সাংবাদিক মজিবুর রহমান প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা, স্থানীয় কে.এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনায় অব্যবস্থাপনা, আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষক কর্মচারীদের স্কুল প্রদেয় বেতন ভাতাদি গত ২০ মাস ধরে খামখেয়ালী ভাবে স্থগিত রাখার অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি করেন।

শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্ণীতিসহ ২২ টি অভিযোগ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। অভিযোগে বলা হয় বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি খামখেয়ালী ভাবে পরিচালনা করে আসছেন। স্কুল শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানী ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়ে আসছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)