৪ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশপাথরঘাটায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ

আকন মোঃ বসির
আকন মোঃ বসির, প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৪৫ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৪০ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৮

আহত জাহাঙ্গীর ও স্ত্রী মাহামুদা বেগমপাথরঘাটা নিউজ ডেস্কঃ
পাথরঘাটার পৌর শহরের ৭নম্বর ওয়ার্ডে এক দম্পতিকে মারধরের অভিযোগের ৪ দিন পার হলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এম রাকিব খানসহ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা পাথরঘাটা নিউজকে জানান, পোনা মাছের মাটির পাত্র (চাড়ি) ভাঙ্গার অভিযোগে স্থানীয় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হাওলাদারের বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহামুদা বেগমকে এ গালিগালাজ করেন পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এম রাকিব খান, তার বড় ভাই মো. হাসান খান ও বাবা ফারুক খান। চাড়ি আমরা ভাঙ্গার সঙ্গে জড়িত নয় বলে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে জাহাঙ্গীর হাওলাদারকে মারধর ও ধারালো রামদা দিয়ে ডান পায়ের গোড়ালিতে কোপ দেয়, এতে জাহাঙ্গীর আহত হন। এ সময় তার স্ত্রী মাহামুদা বেগম ছুটে এলে তাকেও বেদম মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লিংকন অধিকারী পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, মাহামুদা বেগমকে মূলত চাপা বেদম মারধর করা হয়েছে। তাছাড়া তার শরীরে কিছু দিন আগে একটি অপারেশন করা হয়েছিল। তাই তার অবস্থা গুরুতর।

এদিকে গত ১৩ জানুয়ারি উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সময় কর্তব্য পালন কালে পাথরঘাটা নিউজের বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের পাথরঘাটা প্রতিনিধি এএসএম জসিমের উপর চড়াও হয়ে মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় রাকিব খান। পরে নেতাদের প্রচেষ্টায় মোবাইল ও ক্যামেরা ফিরিয়ে দেয়।

আহত জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, আমি ১০ থেকে ১২ বার মামলা দেয়ার জন্য থানায় যাই। কিন্তু পুলিশ মামলা নেননি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এম রাকিব খানের সাথে মুঠো ফোনে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে মুঠো ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখে।

এবিষয়ে পাথরঘাটা পৌর মেয়ার আনোয়ার হোসনে আকন পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, আমি ওসিকে মামলা নেয়ার জন্য বলেছি। সে কেন মামলা নেয়নি তা বলতে পারছিনা।

এ ব্যপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহম্মেদ পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, অভিযুক্তরা পাথরঘাটা পৌর মেয়রের আত্মিয় হওয়ায় মেয়র স্থানীয় সংসদ সদস্যর সাথে আলাপ করে বিষয়টি মিমাংসা করবে বলে আশ^াস দিলে মামলা নেয়া হয়নি। যদি মিমাংসা না হয় তবে মামলা গ্রহন করে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২২ মার্চ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)