সরকারী মাল আত্নসাৎ পাথরঘাটায় ৩শতাধীক কৃষকের মাথায় হাত!

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ০৯:২৬ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজচারদিকে সবুজের সমরাহ, এক পলকেই যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে। কিন্তু এ অবস্থায় কৃষকরা পরেছেন দুশ্চিন্তায়! ধানের ফলন ভাল হওয়ার আশা করলেও রবিশস্য নিয়ে মহা চিন্তায় পরেছেন তারা। উপজেলা কালমেঘা ইউনিয়নের মধ্য কালমেঘা গ্রামে এমন বর্হিপ্রকাশই কৃষকদের মাঝে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষি বিভাগ থেকে প্রায় ৮শ ফুট পাকা ড্রেন এবং ও ২টি সেচ মেশিন, ১টি টিলার মেশিন, মাড়াই মেশিন ১টি ও একাধীক স্প্রে মেশিন বিক্রি করে আতœসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই এলাকার সোহরাফ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে একই গ্রামের কৃষক মো. বাদল আকন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশিরকুমার বড়ালে উপর তদন্তে নির্দেশ দেন।

এবিষয়ে অভিযোগকারী বাদল আকন বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে দেয়া সকল মালামাল বিক্রি করে আতœসাৎ করেছে সোহরাব। এছারাও ৮শ, ফুট পাকা ড্রেনের মধ্যে থেকে প্রায় ৩শ মিটার যায়গার ইট ভেঙ্গে বিক্রি করে একই এলাকার সোহেলসহ একাধীক ব্যাক্তির কাছে।

তিনি আরো বলেন, কৃষি অফিস থেকে বড় সিমেন্টের চুঙ্গা নিজের বাড়িতে ব্যাবহার করছেন।

স্থানীয় ভুক্তভোগী গোলাম হাসান, ফোরকান, জুয়েল গাজি বলেন, ড্রেন ভেঙ্গে ইট বিক্র করায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একারনে বিগত কয়েক বছর ধরে ক্ষেতের ফলন কমে আসছে। ওই প্রভাবশালীদের জন্য আমরা এখন দিশেহারা।

ঘটনার সত্যতা সিকার করে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মকিম সিকদার বলেন, কৃষকদের সুবিধার্থে টিলার মেশিন ও সেচ মেশিনসহ যে সকল সামগ্রী পেয়েরেছন তা বিক্রি করে সোহরাব নিজেই আতœসাৎ করেছেন। এই কৃষির উপরেই আমরা নির্ভরশীল। ড্রেন বন্ধ হওয়ায় আস্তে আস্তে কৃষিরফলন কমে আসছে যার জন্য কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে।

অভিযুক্ত সোহরাব হোসেন মুঠোফোনে সকল অভিযাগ স্বীকার করে বলেন, মেশিন অকেজা হয়ে যাওয়ার কারনে সমিতির মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তাছারা ড্রেনের ইট মসজিদে দিয়ে দিয়েছি। কৃষকের ক্ষেতে সেচ দেয়ার জন্য ড্রেনের ইট মসজিদে দিতে পারেনকিনা সেবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি।

এবিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল বলেন, বাদল আকন নামের এক ব্যাক্তির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই সকল সামগ্রী কোন প্রকল্পের আওতায় তা র নীতিমালা অনুসরন করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই ওই বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)