বরগুনায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন, আসামির পরিচয়েই বড় হবে গর্ভের সন্তান

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ২৫ জানুয়ারী ২০২১

ছবিঃ সংগ্রহীতবিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় আবুল বাশারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের ফলে জম্ম নেওয়া শিশু আসামীর পরিচয় বড় হওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন।

দন্ড প্রাপ্ত আবুল বাশার (২৫) বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের বধুঠাকুরানী গ্রামের আবদুল হালিম মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষনার সময় আসামী আদালতে আসামী উপস্থিত ছিল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ও ভিকটিম ওই আদালতে ২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর আসামী আবুল বাশারের বিরুদ্ধে মামলা করে অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের ২৫ আগষ্ট হতে ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় আবুল বাশার তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিম গর্ভবতি হয়। বাশার ভিকটিমকে বিয়ে করতে রাজি না হলে আদালতে মামলা করে। মামলা চলাকালিন সময় ভিকটিম একটি পুত্র সন্তানের মা হন।

আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, ধর্ষণের ফলে ১০ বছর আগে ভিকটিমের একটি পুত্র সন্তান জম্ম নেয়। সিয়াম নামের ছেলেটি এখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সন্তানটি বাশারের পরিচয় বড় হবে। দুই লাখ টাকা অর্থ দন্ড রাষ্ট্র আদায় করে ভিকটিমকে প্রদান করিবে। এ ছাড়া শিশুটির লেখাপড়া ও ভরন পোষনের দায়িত্ব সরকার বহন করবে। রায় ঘোষনার সময় বাদী তার শিশু সন্তান নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিল। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আশ্রাফুল আলম রূপালী বার্তাকে বলেন, বাদী পক্ষ রায়ে সন্তুষ্ট।

বাদী আদালত প্রাঙ্গনে রূপালী বার্তাকে বলেন, আসামী বাশার আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসংখ্যবার ধর্ষণ করেছে। অথচ বাশার আমাকে বিয়ে করেনি। আসামীর সন্তান এখন পঞ্চম শ্রেণিতে বধুঠাকুরানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়াশোনা করে। আমার ছেলেকে স্কুলে ভর্তির সময় তার বাবার নাম ঠিকই আবুল বাশার দেওয়া হয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত বিয়ে করিনি।

আসামী আবুল বাশার আদালতের বারান্দায় রূপালী বার্তাকে বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আমি হাই কোর্টে আপীল করব। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, আইনজীবী মো: নিজাম উদ্দিন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)