পাথরঘাটায় আ’লীগের কমিটিতে রাজাকারের সন্তানদের পদ দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের প্রতিবাদ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ৩ মার্চ ২০২১

বরগুনার পাথরঘাটায় আ’লীগের সম্মেলনের ৫ মাস পর ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। কমিটিতে রাজাকার পরিবারের সন্তানরা পদ পদবীতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দলেরমধ্যে ব্যাপক ভাবে কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই বিতর্কিত কমিটির প্রতিবাদে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে আওয়ামলীগ ও যুবলীগের একাংশ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার বেলা ১১টার সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাকিল আহমেদ শিবু।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান ও বীরঙ্গনা লাইলী জেগমের ছেলে মিজানুর রহমান আবু, মুক্তিযোদ্ধা মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রি, পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম মিরাজসহ অনেক নেতাকর্মীরা।


শিবু জানান, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী-যুবলীগ কমিটিতে আছি ১৮ বছর ধরে। সব সময় আ’লীগের পক্ষে কাজ করেছি, বিএনপি, জামায়াতের আমলে নির্যাতিত হয়েছি। এখন আ’লীগের স্থানীয় নেতারা মোটা অংকের টাকার বিনিময় রাজাকার পরিবারে সন্তানদের আ’লীগ কমিটিতে বড় পদ পদবি দিয়ে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করছে। পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে রাজাকার পরিবারের আঃ রহিম ফকিরের ছেলে ইব্রাহীম মোক্তারকে সাধারন সম্পাদকের পদ দিয়েছেন।


যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম মিরাজ বলেন, ২৬ বছর ধরে আমরা যুবলীগ নিয়ে পরে আছি, আ’লীগে আমাদের স্থান হচ্ছে না। ২০২০ সালে অক্টোবর মাসে পাথরঘাটা উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার কমিটি ঘোষনা করা হয় গত ২মার্চ। ওই কমিটিতে সাধারন সম্পাদকে তালিকায় ৫ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। যার মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সন্তান এবং তালিকা ভুক্ত রাজাকারের সন্তানের নাম ছিল। কালো টাকার বিনিময়ে তালিকাভুক্ত রাজাকারের সন্তানকে ইউনিয়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করেছেন। এতে করে আ’লীগের আনেক ত্যাগী নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই ক্ষোভ আসান্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রভাব পরবে বলে জানান। তিনি এই কমিটির বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন।


এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন বলেন, উপজেলা নেতৃবৃন্দ যাচাই-বাছাই করেই কমিটি ঘোষণা করেছেন। তারপরও অভিযোগ থাকলে আমরা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। রাজাকারের তালিকা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকা কবে হয়েছে, গেজেট হয়েছে কিনা তাও জানিনা, তালিকা বা গেজেট দেখলে বুঝতে পারব কে রাজাকার কে রাজাকার না।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)