পাথরঘাটায় আওয়ামীলীগের তিন প্রার্থী নির্বাচিত

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪১ পিএম, ২২ জুন ২০২১

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজবরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সোমবার আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন, কালমেঘা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম নাসির (নৌকা) পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর আফরোজ হ্যাপি (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন সাতশত ১২ ভোট। গোলাম নাসির ১১ হাজার ৬৭০ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

কাকচিড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলাউদ্দিন পল্টু ৫ হাজার চারশত ৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান পাহলান (ঘোড়া) পেয়েছেন ৫ হাজার তিনশত ১৬ ভোট। আলাউদ্দিন পল্টু ৯৩ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

কাঠালতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান (ঘোড়া) পেয়েছেন ৪ হাজার ১৯৫ ভোট। শহিদুল ইসলাম ৪৩৩ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকেল চারটায় পর্যন্ত একযোগে ২৭ ঝুঁকিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চললেও কাঠালতলী ইউনিয়নের ১ নংম্বর ওয়ার্ডের গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ একঘন্টা বন্ধ ছিল।

কাঠালতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান জানান, ভোট গ্রহণের আগেই তার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের এজেন্ট বের করে দিয়েছে নৌকা মার্কায় শহিদুল ইসলাম। নৌকা মার্কায় সমর্থকদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন সতন্ত্র প্রার্থী কালমেঘার নুর আফরোজ হ্যাপী ও কাকচিড়া ইউনিয়নের শাহজাহান পহলান।

এদিকে কাঠালতলী ইউনিয়নের ১ নংম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ ইউপি সদস্য প্রার্থী অঞ্জন ভট্টাচার্য তার ফুটবল প্রতিকে ওপেন ভোট দেয়ার প্রতিবাদ করলে তার সমর্থকরা সাংবাদিক জসিম ও সাংবাদিক কাজী সাকিব কে দুঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এবং বাহিরে বের মেরে ফেলবে বলে ‌হুমকি দেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে বলেও ডাক চিৎকার করে হুমকি দেয়। বিষয়টি সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং অফিসারকে জানালে একঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখে। পরে অতিরিক্ত ফোর্স সহ অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিটে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার উদ্ধার করেন।

একঘন্টা ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখায় প্রিজাইডিং অফিসার ইলিয়াছ হোসেন কেও গালাগালি করার অভিযোগ উঠে অঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত অঞ্জন ভট্টাচার্যের কাছে জানতে চাইলে ওপেনে ভোট দেয়া ও প্রিজাইডিং অফিসার কে গালাগালি করে স্বীকার করেছেন। তবে সাংবাদিককে অবরুদ্ধ রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকতা আইয়ুব আলী হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত অঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এমন‌ অভিযোগ অনেক পুরানো। তার বাড়ির সামনে ভোট কেন্দ্রে হওয়ার এমন প্রভাব বিস্তার করে সবসময়।

এ বিষয়ে নির্বাচনে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা জানান, নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিয়ম অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে দু একটি ভোটকেন্দ্রে অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলেও বড় কোনো ধরনের সহিংসতা হয়নি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)