পাথরঘাটায় স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায়ে বাবাসহ ৪ জনের নামে মামলা, আটক ২

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৪২ পিএম, ৩ জুলাই ২০২১

ঘাতক শাহিন ও তার ৯ মাসের কন্যা শিশুবরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী সুমাইয়া বেগম ও ৯ মাস বয়সী কন্যা সন্তান সামিরা আক্তার জুইকে হত্যার অপরাধে স্বামী শাহিন মিয়াকে প্রধান আসামী করে সুমাইয়ার বাবা রিপন বাদশা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আজ শনিবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের সময় এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার অন্য আসামীরা হলো, শাহিনের মা শাহিনুর বেগম (৪২), মামাতো ভাই ইমাম হোসেন (২২), ইমামের শ্যালক রিমনসহ অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জন।

সরেজমিনে গিয়ে জানান গেছে, দীর্ঘ দিন আগে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতেমপুর এলাকার রিপন বাদশার মেয়ে সুমাইয়ার সাথে পাশ্ববর্তী মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে শাহিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেম আস্তে আস্তে শারিরীর সম্পর্কে গড়ায়। তখন সুমাইয়া অন্তসত্তা হয়ে পরলে তার বাবা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় শাহিন কারাভোগ করে বিয়ে করার শর্তে মুক্তি পায় এবং বিয়ে করে। এর পর থেকেই তাদের সংসারে কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধীকবার শালিশ মিমাংসা হলে একইভাবে চলতে থাকে তাদের মধ্যে। পরে গত বুধবার দুপুরে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে তার বাবা দাওয়াত করলে সেখানে শাহিন না গিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে পাঠিয়ে দেয়। বাবার বাড়ি থেকে সুইমাইয়া আসার পরে ওই দিন রাতের কোন এক সময় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে বাড়ির পিছনের খালের পাড়ে গর্ত করে সুমাইয়ার পা গাড়ের সাথে রশি দিয়ে শক্ত করে বেধে পুতে রাখে। পরে সুমাইয়ার পরিবার লোকজন খোজাখুজির পরে মা-মেয়েকে না পেয়ে বাবা রিপন বাদশা পাথরঘাটা থানায় জানায়। স্থানয়ীরা বাড়ির পিছনে গর্ত দেখে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয় এবয় পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পাথরঘাটা থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাজেত আলী মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে পাথরঘাটা নিউজকে জানান, আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে সুসাইয়ার বাবা রিপন বাদশা বাদী হয়ে পাথরঘাটা প্যানেল কোর্টে ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ে করেছেন।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার পাথরঘাটা নিউজকে জানান, স্ত্রী ও সন্তান হত্যার দায়ে শাহিনের মা শাহিনুর বেগম ও মামাতো ভাই ইমাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)