পাথরঘাটায় ১৫ টাকার খেয়া ভাড়া ১০০ টাকা, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ পিএম, ৬ জুলাই ২০২১

পাথরঘাটায় ১৫ টাকার খেয়া ভাড়া ১০০ টাকা, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি

মহামারি করোনার কারনে সারা দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাস্থ্যবিধি না মেনে বরগুনার বাইনচুটকি-বরইতলা ও পাথরঘাটা থেকে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাটে চলছে খেয়া পাড়াপাড়। করোনা ও লকডাউনকে পুঁজি করে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। মানা হচ্ছেনা জেলা পরিষদের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে প্রায়ই খেয়া চালকদের সাথে যাতায়াতকারীদের ঘটছে বাগবিতান্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা।

জেলা পরিষদের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা জনপ্রতি ১৫ টাকা নির্ধারণ থাকলেও নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে। মটরসাইকেল ১৫ টাকার স্থলে নেয়া হচ্ছে ৩০টাকা করে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজন অভিযোগ করে বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা দেখতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। খেয়া চালকরা বলে এটাই এখানকার রেট।

পাথরঘাটার আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, গতকাল আমি ও আমার স্ত্রীসহ ৩ জন বরগুনা থেকে বরইতলা-বাইনচুটকি খেয়া পাড় হয়ে পাথরঘাটায় আসি। এসময় জন প্রতি ১৫ টাকা ভাড়া হলেও আমাদের ৩ জনের কাছ থেকে ৩০০টাকা নেয়া হয়েছে। ওই খেয়ায় মোট ১৯ জন যাত্রী ছিল। প্রতেকের কাছ থেকে ১০০ টাকা নেয়া হয়। অতিরিক্ত ভাড়া কেন আদায় করা হচ্ছে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। মানসম্মানের ভয়ে কথা না বাড়িয়ে তাদের সব টাকা দিয়ে দেই।

আরিফুর রহমান নামে একজন বলেন, আমি মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনা থেকে নিশানবাড়িয়া হয়ে খেয়ায় পাথরঘাটা আসি। এ সময় এ খেয়ায় ১৩ জন যাত্রী ছিল। জনপ্রতি ১০০টাকা করে বাড়া দিতে হচ্ছে। বেশি ভাড়া নেয়া হয় কেন জানতে চাইলে বলে, গেলে যান- না গেলে না যান, ভাড়া ১০০ করেই। খেয়াটি ঘাটে না ভিড়ে অন্য এক পাশে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়।

এ বিষয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, কঠোর লকডাউনের সময় খেয়া পাড়া-পাড়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ বিষয় তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে। যদি কেউ নির্দেশনা অমান্য করে খেয়া চালায় ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)