পাথরঘাটায় মাদকের প্রতিবাদ করায় হামলার অভিযোগ, আহত ৩

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ১১ জুলাই ২০২১

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজবরগুনার পাথরঘাটায় ইয়াবাসহ দম্পত্যিতে আটকের জের ধরে দোকানে হামলা, ভাংচুর, ও প্রানা নাশের অভিযোগ করেছেন সোহেল রানা নামের এক ব্যাবসায়ী। এসময় তার বৃদ্ধ বাবা ইউনুচ খান (৬০) ও মা ফরিদা বেগমকে (৪৫) মারধর করার অভিযোগ করেন।

এঘটানায় সোহেলসহ প্রায় শতাধীক এলাকাবাসী পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত ফোরকান, আজাদ ও রাসেল একই এলাকার পনু হাওলাদারের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ফোরকান ও তার ভাইয়েরা পশ্চিম চরলাঠিমারা এলাকাসহ আশপাশের গ্রাম গুলোতে মাদকে ব্যাবসা করছেন। প্রতিদিন বিকেল হলেই পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অপরিচিত মানুষের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে মারধরের স্বীকার বা গ্রাম ছারা হতে হয়, তাই ভয়ে কেউ কথা বলে না। ফোরকানের বোন চট্টগ্রাম থাকার সুবাদে সেখান থেকে সহজেই অবৈধ ভাবে মাদক নিয়ে আসছে পাথরঘাটায়। তাছারা ফোরকানের বোনের ছেলে রেজবী নিয়ে আসার সময় প্রশাসনের কাছে আটক হয়ে কারাভোগ করেছেন।

স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে আব্দুল বারেক, হানিফা, আশ্রাব আলী ও আব্দুস ছালাম জানান, গত ৫ জুলাই  সোমবার রাতে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চরলাঠিমারা এলাকার মোসলেম আলী ও তার স্ত্রী রেক্সোনা বেগমকে কোস্টগার্ড ৯০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে। তাদের নিয়ে আসার পরেই রেক্সোনার ভাই ফোরকান এসে সোহেলসহ স্থানীয়দের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে শুরু করে। এর প্রতিবাদ করার সাথে সাথেই সোহেলের উপরে ও আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। পরের দিন সকাল ৯টার সময় ফোরকানের ছোটভাই আজাদ ও রাসেল এসে আরেক দফায় দোকান ভাংচুর ও মালামাল লটু করে নিয়ে যায়। এসময় সোহেল রানার বৃদ্ধ বাবা ও মা প্রতিবাদ করলে লোহার রড দিয়ে বেদম পিটায়।  

অভিযুক্ত ফোরকার, আজাদ ও রাসেলের বাবা পনু হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, আমার ছেলে একটা সিগারেট চেয়েছে তা দিতে সময় ক্ষেপন করায় বাগবিতন্ডা হয়েছে। এসময় সোহেল ও তার মামাতো ভাই সোলায়মান আমার ছেলেদের মারধর করেছেন। তার মেয়ে রেক্সোনা ও জামাই মোসলেম আলী মাদকসহ আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আটক হয়েছে তবে কেন হয়েছে সে বিষয়ে বিছুই জানেন না।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. ফারুক হোসেন জানান, পনু হাওলাদারের ছেলেরা সোহেল ও তার মা বাবাকে মারধর করেছে তা আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। আমার সামনেই সোহল ও তার পরিবারকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দামকি দিয়েছে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে তদন্ত করেছে। ফোরকানের বাড়ির সামনে সোহেল ব্যবসা করার সুবাদে সেই দোকানে গিয়ে সিগারেট চায়, সোহেলের হাতে কাজ থাকার কারনে দিতে দেরি হওয়ায় তাদের মধ্যে তর্ক হয়। তবে যে রকম ঘটনা ঘটেছে তাতে মামলার মতো কিছুই হয়নি, জিডি করা যায় মাত্র।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)