পাথরঘাটার চার ইউনিয়নের তিনটিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৬ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২১

মোহাম্মদ কাজী রাকিব পাথরঘাটা,

তৃতীয় ধাপে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিন ছিল এই চারটি ইউনিয়নের। আগামী চার নভেম্বর বাছাই এবং ১১ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।বিএনপি নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত চার ইউনিয়নের তিন ইউনিয়নেই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে হিসাবে মনোয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান দুই চেয়ারম্যান সহ তিন জন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন বিদ্রোহীদের দল থেকে উপরের নির্দেশে বহিষ্কার করা হবে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে সদর চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন এম মতিউর রহমান মোল্লা, নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান (বিদ্রোহী), আলমগীর হোসেন (নৌকা), রাসেদুল ইসলাম ও সুমন মিয়া, হাফিজুর রহমান (হাতপাখা)। নাচনাপাড়া ইউনিয়নে জাহরুল হক, ,আতিকুর রহমান( হাতপাখা), বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদ মিয়া (নৌকা) ও মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন। চরদুয়ানী ইউনিয়নে আব্দুর রহমান জুয়েল (নৌকা) ও সোহাগ বাদশাহ (হাতপাখা)। রায়হানপুর ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম, মঈনুল ইসলাম(নৌকা), নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপক (বিদ্রোহী), সি এম সাদেক রহমান, নয়ন, আবদুস ছালাম হাওলাদার ও আব্দুল মোতালেব।

এরমধ্যে সদর ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান আসাদ, রায়হানপুর ইউনিয়নে, মিজানুর রহমান ও নাচনাপাড়া ইউনিয়নে মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এছাড়া চরদুয়ানী ইউনিয়ন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এনামুল হক মনোনয়ন না পেয়ে আব্দুর রহমান জুয়েলের সমর্থনে কাজ শুরু করেছে। পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন জানান যারা বিদ্রোহী হয়েছে এরা প্রত্যেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত হলে বিদ্রোহী প্রার্থী হবে না বলে অঙ্গীকার করলেও তারা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। কারা এদের পিছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

এদিকে বিএনপির আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এম মতিউর রহমান মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এছাড়াও চরদুয়ানী ইউনিয়ন থেকে সোহাগ বাদশা ও নাচনাপাড়া ইউনিয়নে আতিকুর রহমান চরমোনাই পীরের হাতপাখা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আইয়ুব আলী হাওলাদার জানান চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৬ টি ভোট কেন্দ্রের ২০ টি কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে রায়হান পুর আটটি কেন্দ্র, চরদুয়ানী ইউনিয়নে কালিয়ার খাল ও ছোট টেংরা সহ চারটি, নাচনাপাড়া ইউনিয়নে পাঁচটি এবং সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকাসহ তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র রয়েছে। যার তালিকা ইতিমধ্যে জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচনের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে বিজিবি ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে এছাড়াও র্যাবের ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে বলেও জানান তিনি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)