পাথরঘাটায় বাড়ছে করোনা, নেই চিকিৎসা ব্যাবস্থা

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

পাথরঘাটায় বাড়ছে করোনা, নেই চিকিৎসা ব্যাবস্থাবরগুনার পাথরঘাটায় এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে সোমবার। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুত্রে জানা যায়, জানুয়ারী মাসে ২৫ জন করোনা সনাক্ত হলেও মাসের শেষ দিন সোমবার সনাক্ত হয়েছে আট জন। যা এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সনাক্ত। চিকিৎসক সংকট থাকায় ঠিক মতো চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার সাইফুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পাথরঘাটা উপজেলার সাধারণ মানুষ টিকা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী থাকলেও স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে উদাসীন। গত একমাসে পাথরঘাটায় যে হারে সংকমন হয়েছে তার থেকে মাসের শেষ সপ্তাহে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তিনি জানান এর আগে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন জন চিকিৎসকও আক্রান্ত হয়েছিলেন।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছে রোগীরা। তবে চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক না থাকায় জরুরী বিভাগের সামনে দীর্ঘলাইন। চিকিৎসকের আসনটিও শুন্য। অপরদিকে সদ্য করোনা আক্রান্ত রোগীরাও অপেক্ষা করছে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য। এর মধ্যে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউর) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর বাবা-মা ও রয়েছে। নজরুল ইসলাম মিঠুর বাবা এমদাদ আলী আকন জানান, কয়েকদিন ধরে উপসর্গ দেখা দেয়ায় আজ (সোমবার) আমি ও আমার সহধর্মিনী করোনা পরিক্ষা করিয়ে জানতে পারি আমরা আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় আছি। এতো বড় উপজেলায় সংশ্লিষ্টদের চিকিৎসক সংকট সমাধান করা উচিত।

জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জিএম আকবরের আসনে তাকে না পেয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সদ্য জন্ম নেয়া এক নবজাতকে বাঁচতে ব্যাস্ত সে। পরে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, সকাল থেকে একাই দুটি বিভাগের দায়িত্ব পালন করে আসছি। একদিকে জরুরী বিভাগের রোগীদের সেবা অপরদিকে আউট ডোরের চিকিৎসা দেয়া। তিনি জানান, এখন বেলা সাড়ে বারোটা বেজেছে। সকাল থেকে পানি পান করার সময় পর্যন্ত পাইনি। এদিকে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ভালো নেই এ উপজেলার মানুষেরা।

এদিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সংকট নিয়ে জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা গত রবিবার লাখে একজন চিকিৎসক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরেও জনবল সংকট ঘোচাতে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার সাইফুল হাসান জানান পাথরঘাটা নতুন করে কোন আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েই চলছে অপরদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট রয়েছে। এরপরেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন হয়ে কাজ করছে এলাকার লোকজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দিয়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিশেষ পরামর্শ দেন তিনি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)