পাথরঘাটায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার সাক্ষীকে ছাত্রলীগের সহসভাপতির প্রান নাশের হুমকি

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ছবিঃ সংগ্রহীতআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যূনালে যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী ও পাথরঘাটা পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম সুমন।

শুক্রবার রাতে পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন।

এর আগে পাথরঘাটা সাবরেজিষ্ট্রি জামে মসজিদে জুমুয়া নামাজ শেষে শতাধিক মুসুল্লীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হায়দার আলী খান, লিটন মিয়া, মাহমুদ, জাহাঙ্গীরসহ একাধিক প্রতদর্শী মুসুল্লী জানান, জুমুয়া নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়া মাত্রই হঠাৎ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম সুমন কাউন্সিলর কাকনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় উপস্থিত মুসুল্লীরা সুমনকে সরে যেতে বললেও প্রকাশ্যে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কি কারণে এরকমের ঘটনা হয়েছে তা আমরা বলতে পারবোনা তবে একজন জনপ্রতিনিধিকে এ রকমের হুমকি দুঃখজনক।

কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, আমি মসজিদ থেকে বের হওয়া মাত্রই মুসুল্লীদের সামনে আমার পথরোধ করে অশালিন কথাবার্তা বলে এবং পরে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যূনালের একটি যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী। আমি নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। মামলার সাক্ষী এবং সুমনের একটি শালিসীর ক্ষোভে এ রকমের করতে পারে।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত সুমন বলেন, আমি তাকে কোন হুমকি ধামকি দেইনি। তবে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এটার জন্য আমি দুঃখিত।

পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, এ রকমের ঘটনা শোনামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। কাউন্সিলর কাকন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহম্মেদ সরকার বলেন, ওই মসজিদেই আমি নামাজ পড়ছিলাম। আমি সাথে সাথেই থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পুলিশ সুমনকে আটক থানায় নিয়ে যায়।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)