সুন্দরবনের ৩ জলদস্যু বাহিনীর ২৭ জনের আত্মসমর্পণ

নোমান আল সাকিব
নোমান আল সাকিব, ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ১ এপ্রিল ২০১৮

---
বাগেরহাট থেকে ফিরে: দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছেন সুন্দরবনের আরও তিন দস্যু বাহিনী।রোববার (১ এপ্রিল) বিকালে বাগেরহাটের স্বাধীনতা উদ্যানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমপর্ণ করেন দস্যু বাহিনীর সদস্যরা।

এবারও যমুনা টেলিভিশনের মধ্যস্থতায় ‘ছোট সুমন’, ‘ডন ‘ ও ‘ছোট জাহাঙ্গীর’বাহিনীর ২৭ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। সব দস্যুদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা এবং ১টি মোবাইল ফোন প্রদান করে র‌্যাব।

জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা হলেন, বাহিনী প্রধান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), মোঃ কবির সুলতান (৫৫), মোঃ মনিরুল শেখ (৩৩), মোঃ শহিদুল শেখ (৩২), মোঃ আব্দুস সালাম (৪৩), শেখ আল মামুন সোহেল রানা (২৯), মোঃ সেলিম মোল্লা (২৮), মোঃ ইদ্রিস ডালি (২৮), মোঃ মিঠু সরদার (৪০)।

মেহেদী হাসান ওরফে ডন বাহিনীর সদস্যরা হলেন, বাহিনী প্রধান মোঃ মেহেদী হাসান ডন (৩২), জয়দেব মন্ডল (৩৫), মোঃ খলিলুর রহমান (৪৫), মোঃ সাইফুল্লাহ (২৯), মোঃ আবুল হোসেন ইসলাম (২৭), মোঃ আজিজুর ইসলাম (২৭), জয়ন্ত বিশ্বাস (৩০), মোঃ শাহজাহান (৪২), মোঃ আব্দুর রহমান শেখ (২৮), মোঃ মাহমুদুল হাসান (২৬)।

ছোট সুমন বাহিনীর সদস্যরা হলেন, বাহিনী প্রধান মোঃ সুমন হাওলাদার (২৪), মোঃ লুৎফর শেখ (৪০), মোঃ ভ’ট্টো বয়াতি (২৮), মোঃ আঃ সামাদ মোল্লা (২৬), মোঃ রিয়াজ শেখ (২৮), মোঃ ইয়াছিন শেখ (২৯), মোঃ তরিকুল হাওলাদার (২৩),মোঃ সিদ্দিক হাওলাদার (৩৯)।

এসময় তাদের ব্যবহৃত ১৩টি একনলা বন্ধুক, ৩টি বিদেশী দোনলা বন্ধুক, ৪টি ২২ বোর বিদেশী রাইফলে, ৭টি পাইপগান, ১টি বিদেশী ওয়ানশূটারগানসহ ২৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১ হাজার ৮১ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয়।

২০১৬ সালে এই আত্মসমপর্ণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।এরই মধ্যে এ নিয়ে সুন্দরবনের ২০টি দস্যু বাহিনীর ২১৭ জন সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। সুন্দরবনের বেশিরভাগ দস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণ করে সরকারের কাছে তাদের অস্ত্র জমা দিয়েছে। এতে আগের চেয়ে নিরাপদ হয়েছে সুন্দরবন।

আত্মসমর্পণ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মীর শওকাত আলী বাদশা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়াল, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিজিবি খুলনা রেঞ্জের প্রধান ব্রিগেডিয়ার খালেক আল মামুন,র‌্যাব-৬ এর সিইও খন্দকার রফিকুল ইসলাম, র‌্যাব-৮ এর সিইও হাসান ইমন আল রাজীব,বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় প্রমুখ।

আত্মসমর্পণের প্রভাব কেমন এমন প্রশ্নে র‍্যাব-৮ এর মেজর সোহেল রানা বলেন, বর্তমানে আমরা জেলে ও স্থানীয় মানুষজনের কাছে জানতে পেরেছি এখানে যে দস্যুদের উৎপাত ছিলো তা অনেক কমে গেছে। আশা করছি আমরা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে পারবো।

এন এ এস/পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)