আমতলীতে বিয়েতে বাবা,মা রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৮

আত্মহত্যা প্রতীকী ছবি
অনলাইন ডেস্কঃ বিয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যলুমিনিয়াম ফসপাইড) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ছাত্রীর নাম আছিয়া খাতুন। আছিয়া ঘোপখালী গ্রামের আবদুল আজিজ আকনের মেয়ে। সে ঘোপখালী আল আমিন দাখিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছিল। ঘটনা ঘটেছে রবিবার সকালে ঘোপখালী আল আমিন মাদ্রাসায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, কীটনাশক জাতীয় দ্রব্য খেয়ে আছিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
ঘোপখালী আল আমিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা একেএম ইসমাইল বলেন, আছিয়া মাদ্রাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে ওর বাড়ীতে পৌছে দেয়। তিনি আরও জানান, আছিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে পড়ে এবং ওমর ফারুক এ বছর মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার ঘোপখালী আল আমিন দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী আছিয়া খাতুন। সে ওই মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী ওমর ফারুক নামের এক ছাত্রের সাথে গত দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ঘটনা দু’পরিবার জেনে যায়। ওমর ফারুক জানুয়ারি মাসে মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। ওমর ফারুক আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে।

পরীক্ষা শেষে ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবারের কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে রাজি হয়নি মেয়ের পরিবার। রবিবার সকালে ওই ছেলেকে বিয়ে করবে বলে আছিয়া তার মা দেলোয়ারা বেগমকে জানায়। কিন্তু বাবা-মা ওই ছেলের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি।
এ সময় মা দেলোয়ারা বেগম মেয়েকে গালমন্দ করে। এতে অভিমান করে আছিয়া। ওইদিন সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে
এ এম বি । পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)