কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের মারামারি, আলোচনায় ইউনুস

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৮:২৪ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | আপডেট: ০৪:৫৪ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

---কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে বুধবার সকালে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউনুস।

এর আগে বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হন আবু ইউনুস। পরে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ছাত্রলীগের হল কমিটিতে তাঁকে পদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ আছে ইউনুসের বিরুদ্ধে।

ইউনুস বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদের অনুসারী। আর ফকির রাসেল আহমেদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের অনুসারী।

শহীদ মিনার এলাকায় মারামারির ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা ফুল দিতে যান। সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ শাখা, হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আবু ইউনুসের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইউনুস হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ ঘটনায় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা কয়েকজন আহত হন। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যাপারে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউনুস বলেন, তাঁদের কর্মীদের একটি পক্ষ মারধর করতে লাগলে তিনি ঠেকাতে যান।

বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সকালে শহীদ মিনার এলাকায় রামপুরা যুবলীগ ও লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে মারামারি হয়। আমাদের একজন কর্মী আটকে পড়লে অন্য কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ সময় তাঁরা এই ঘটনার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। তেমন কোনো ঘটনা নয় এটি।’

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। ঘটনার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নিব।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, ‘বেনামি সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আমি সরাসরি ঘটনাস্থলে ছিলাম। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।’(সূত্রঃ এনটিভি)

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)