আমতলী ও তালতলী ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা নিয়ে সড়ক অবরোধ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:০২ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮

সড়ক অবরোধদীর্ঘদিন পরে সম্প্রতি আমতলী ও তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবগঠিত এসব কমিটিতে মাদক ব্যবসার অভিযোগে অভিযুক্ত ও বিতর্কিত নেতাদের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন, সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা।

অন্যদিকে এসব অভিযোগকে ক্ষমতালোভী ও স্বার্থান্বেষী একটি চক্রের মদদপুষ্ট কতিপয় বিপথগামী নেতকর্মীর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব কমিটি বাতিলের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী পটুয়াখালী- কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীস্থ বটতলা বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমতলী ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় ধর্মঘটের পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এতে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারী নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচলে স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করে পুলিশ।

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিত নেতাদের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের একাংশ।

এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুরাদ হোসাইন ও যুগ্ম সম্পাদক অনিমেষ চন্দ্র হাওলাদার স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করেন, মেয়াদোর্ত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ জামাত-বিএনপির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল ইসলামকে সভাপতি করে আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ এবং মোঃ সরোয়ার হোসেনকে সভাপতি করে তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ। মাহবুবুল ইসলামের নামে মাদক মামলা রয়েছে এবং সরোয়ার হোসেনের বাবাসহ একাধিক স্বজন বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীর।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক বলেন, সংবাদ সম্মেলন যারা করেছেন বয়সের কারণে তারা অনেক আগেই ছাত্রলীগের সদস্য পদ হারিয়েছেন। তারা ক্ষমতালোভী একটি স্বার্থান্বেষী চক্রের মদদপুস্ট হয়ে এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সভাপতি সম্পাদকের পদ একটাই, প্রার্থী অনেক। পদ না পেয়ে মান অভিমান থাকতেই পারে। সেসব মান অভিমানকে পুজি করে সেখানেও ওই একই চক্রটি নানারকম ষড়যন্ত্র করে ছাত্রলীগের ভাবমুর্তী নষ্ট করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১২ এপ্রিল

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)