যেহেতু নারী-পুরুষ, সেহেতু তাদের অধিকারও সমান, কিন্তু অাইন কেন ভিন্ন?

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৮

রনি হালদার রুদ্ররনি হালদার রুদ্র
♦♦ইভটিজিং,যৌতুক,নারীদের লাঞ্ছিত করা এগুলো এখন সামাজিক ব্যাধি হিসেবে বিবেচিত।

অামাদের বুব্ধুত্ব সমাজ কেবল তরুণদের বিপথে যাবার কথাই বলছেন। তরুণ সমাজ অসামাজিক, সেচ্ছাচারী অার অভদ্র হয়ে গেছে এরূপ বিলাপ অাজ পথে ঘাটে। কিন্তু যারা কেবল তরুণ সমাজকে দ্বায়ী করছেন তারা কি গভীর অন্বেষণ কখনো করেছেন ইহার উৎকৃষ্ট কারণ জানার জন্য?

অামাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ কেবল অন্যের সুরে সুর মেলাতে জানেন। এটা হয়তো অনেকেই জানেন।

কারণ বাঙালী বোঝার চেয়ে বলতে ভালোবাসে।

যে নারীরা জীবন গঠনে সহায়তা অার সুপথের সঙ্গ দেয়ার ব্রত নেয়ার কথা তারা অাজ এক এক জন নিজেদের অধিকারের দাবিতে পুরুষ কুলের মাথায় বসার পালা।
কারণ তারা জানে তাদের পক্ষে একশোখানা অাইন তৈরী রয়েছে অার অপরদিকে পুরুষকুলের শূন্য(০)।

দূর্ভাগা স্বদেশ অামার নির্বাক তখন যখন মিথ্যা নির্যাতন, যৌতুক অার ইভটিজিং এর দায়ে সোনার ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলে কারাবাসে জীবন অতিবাহিত করে।
সমঅধিকার স্বীকারতো করা-ই বাঞ্ছনীয়।

কিন্তু মিথ্যা দায়?

কথাগুলো সত্য কিংবা মিথ্যা তা সমাজের অানাচে কানাচে তাকালেই অাপনাদের দৃষ্টিগোচর হবে।

হাজারো যুবক অাছে যাদের সম্ভাবনা ছিল অসীম কিন্তু মিথ্যা দায়ের অভিযোগে তাদের বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে।

অপার সম্ভাবনার বদলে তারা পেয়েছে ব্যর্থতা।

সমাজের ১০% খারাপ লোকের কারণে এমন ব্যবস্থা করা হলো; তা কি সর্বোপরি কল্যানের?

♦♦বাংলাদেশ সরকার নারীদের জন্য দিয়েছে নানান অকল্পনীয় সুবিধা। তাও নারীরা অবলা বলে….

১। নারী ও শিশু নির্যাতন অাইন। (যাহা ৯৯% নারীদের দখলে, সত্য কিংবা মিথ্যার যাচাই খুব কম-ই হয় বটে)

২। ইভটিজিং নিরোধ অাইন। (ঐ)

৩। বাসে নারীদের সিটের ব্যবস্থা (কেউ সেখানে বসলেই জরিমানা কিংবা অারো কঠোর পন্থা) অারো বহু সুযোগ দিয়েছেন যাহা বিবৃত করলাম না।

অামিও সহমত এসব ভূমিকা নেওয়ায়, কিন্তু ইহার ফলে কতটা হিংস্র হয়েছে নারীসমাজ তাকি কেউ খোঁজ নিয়েছে? নেয় নি। ভালো ও মন্দের সংমিশ্রণ সমাজে অনন্তকাল ধরে প্রবাহমান। অার এই ব্যবস্থার কারণে মিশে গেছে তাও।

অাগে সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদের চিহ্নমাত্র কলঙ্ক বলে ধরা হতো।অার এখন তাহা সামান্য ব্যাপার। যার ফলশ্রুতিতে অামাদের অাগামী সমাজ কেবল নারীর প্রতি অাস্থাই হারবে না বরং সম্মানবোধও ক্ষুন্ন হবে।

ত্রুটি পুরুষকুলেরও যৎসামান্য নয়। তারাও যে ধোয়া তুলসীপাতা তা একবারের জন্যও বলছি না। তবে তাদের অার নারীকূলের ব্যবস্থার রকমফের রয়েছে।
বহু অাগে পরেছি, “বাঙালী নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না”। তাই কি?

এটা তথাকথিত সমাজে তাকালে জ্ঞাত হবেন।

বর্তমানে এরূপ অবস্থা পুরুষকূলেও দেখা যায় হয়তো সেটা কারো চোঁখে পরে না।

★★বাস্তবিক দৃষ্টি দিলে পুরুষ সমাজ কি নির্যাতিত হয় না? তবে তাদের জন্য কি ব্যবস্থা?

♠♠একটি সমাজ তথা জাতির-নারী অার পুরুষের অধিকার যদি সমান হয়, তবে তাদের জন্য প্রস্তুতকৃত অাইন কেনো ভিন্ন?

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২০ এপ্রিল

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)