বাড়ি ভাড়া নিয়ে তৈরি করলেন গাঁজার কারখানা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

---
অনলাইন ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে থাকেন তানিয়া। লম্বা এক সফরে যাবেন এশিয়াতে, তাই ভাড়া দিয়েছেন নিজের বাড়ি। কিন্তু সফর শেষে যখন বাড়ি ফিরলেন তখন তো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। যাদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন শখের বাড়ি, তারা ঘটিয়েছে এক ভয়াবহ কান্ড। ভেঙে চুরে তছনছ করেছে সব কিছু। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বাসার মধ্যে বনিয়েছে বিশাল গাঁজার কারখানা।

ইংলিশ পত্রিকা মিরর এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাড়ি ফিরে আসেন তানিয়া। কেননা প্রতিবেশী ফোনে জানিয়েছিলেন, তার বাড়ির উপরে হোস পাইপ বসাতে দেখেছেন। যা বেশ রহস্যজনক! বাড়িতে না থাকলেও ভাড়াটিয়াদের আচরণে কিছুটা সন্দেহ তানিয়ার মনেও দেখা দিয়েছিল। যখন তিনি খেয়াল করলেন, ভাড়াটিয়ারা সময় মতো ভাড়া পরিশোধ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
গেঙে ফেলা বাড়ির দরজা। ছবি: মিরর

কিন্তু বাড়িতে ফিরে এমন পরিস্থিতি দেখার কথা কল্পনাও করেননি তিনি। ভেতরে রয়েছে থরে থরে গাঁজার বাণ্ডিল। মিরর’কে তানিয়া বলেন, পুরো বাড়িকেই বলতে গেলে গাঁজার কারখানায় পরিণত করা হয়েছিল। সেগুলোকে যত্নের জন্য বাড়ি ভেঙে কৃত্রিম আলো বাতাসের ব্যবস্থাও করেছিল ভাড়াটিয়ার বেশে আসা মাদক ব্যবসায়ীরা। বাড়ির এমন অবস্থা দেখে বারান্দাতেই বসে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তানিয়া। উপর তলায় উঠে আর কিছু দেখার মতো শক্তি তার ছিল না।
---

মিরর’কে তিনি জানান, ‘এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা যে হবে তা কল্পনাও করিনি। বাড়ির পরিস্থিতি দেখে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।’ সংবাদমাধ্যমকে তানিয়া বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বাড়ির যে হাল করেছে তাতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আদৌ নিজের বাড়ির দখল বুঝে পাবেন কিনা তা নিয়েও সন্দিহান তিনি। অবশ্য বাড়ি ভাড়া দেয়ার সময় ভাড়াটিয়াদের দেখে কোনো ধরনের সন্দেহই তার হয়নি। জানান, গত সেপ্টেম্বরে তিনি যখন যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন তখন দক্ষিণ কোরিয়ার এক দম্পতিকে ভাড়া দেন। তাদের একটি শিশু সন্তানও দেখেছিলেন তানিয়া।

বাড়ির মালিক জানান, বাসস্থান বুঝে পেলেও এর মেরামতের জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা নেই। তাছাড়া ভাড়াটিয়ারা তাকে কোনো ভাড়াও পরিশোধ করেনি। এর উপর রয়েছে ব্যাংকের ঋণ। তানিয়া বলেন, গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির কিস্তি এখনও পরিশোধ করা হয়নি। যদি এই মাসেও ঋণ পরিশোধে তিনি ব্যর্থ হন, তবে ব্যাংক তার বাড়ি জব্দ করে নেবে। এমন অবস্থায় অপরাধীদের কাছ থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ এম বি / পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)