আমি আপনাদের মাঝে একজন পরিপূর্ণ নারী, পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে থাকতে চাই : মৌসুমী

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০১:৫৮ এএম, ২ জুন ২০১৮ | আপডেট: ০২:০৫ এএম, ২ জুন ২০১৮

পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে থাকতে চাই : মৌসুমী
প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। ঢাকাই চলচ্চিত্রের নন্দিত নায়িকা। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি মুক্তির মধ্য দিয়ে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের দুই যুগ পার করছেন তিনি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মৌসুমী নিজেই এক আলাদা অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছেন, যাতে তার সাফল্যগাথা ইতিহাস রয়েছে। চলচ্চিত্র জীবনে অর্জন, স্মৃতিকথাসহ নানা প্রসঙ্গ নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন এ নায়িকা।
স্বামী ওমর সানির সঙ্গে মৌসুমী
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের দুই যুগ পার করে এলেন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে ভাবলে কেমন লাগে?

আসলে আমরা খুব অল্প সময়ের জন্যই পৃথিবীতে এসেছি। আমার মনে হয়, এই তো সেদিনই কাজ শুরু করলাম। অথচ দুই যুগ হয়ে গেছে? ভাবতেই পারছি না এতগুলো বছর কীভাবে কাটিয়ে এলাম! তবে এই সময়ে এসে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়। যেভাবে সময় পার করতে চেয়েছি সেভাবেই কাটাতে পেরেছি। এখনও সম্মান নিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। সবার কী অফুরন্ত ভালোবাসা পাচ্ছি।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে চলার পথে কার অবদান ছিল?

শুরুতে আমাকে নিয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের সবারই তো অবদান। এ ক্ষেত্রে আমার প্রথম ছবিতে যে আমার মেকাপ আর্টিস্ট ছিলেন তার প্রতিও কৃতজ্ঞ আমি। তবে ক্যারিয়ারে আমার প্রথম চলচ্চিত্রের হিরো সালমান ও মান্নাকে চরম মিস করি। আরও কৃতজ্ঞতা ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ ভাইয়ের কাছে, যার ক্যামেরা দিয়ে আমাকে প্রথম দেখেন এবং পরবর্তীতে রফিকুর রহমান রেকু ভাই। শাকিব লোহানী, পরিচালক সোহান ভাই, মুশফিকুর রহমান গুলজার, চাষী ভাই, নারগিস আপা সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার মা, দুই বোন ইরিন ও স্নিগ্ধা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। আর কাজ এবং ব্যক্তি জীবনে যে মানুষটির ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আমি পরিপূর্ণ, তিনি ওমর সানী।

শোবিজে জার্নিটা কীভাবে শুরু হয়েছিল আপনার?

প্রথমে ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ ভাইয়ের কাছে ছবি তোলা হয়। সেই ছবি স্কয়ারের অঞ্জন দা’র চোখে পড়ে। তিনিই আমাকে দেখে বিজ্ঞাপনের জন্য নির্বাচিত করেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, চলচ্চিত্রে আসার আগে প্রথমে আমি বিজ্ঞাপনে মডেল হই। এরপরই ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে অভিনয় করি। যখন আমার প্রথম ছবির শুটিং চলছিল, তখন আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় ‘সুন্দরী প্রিন্ট শাড়ি’ নামের একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন খুব বেশি পরিমাণে বিটিভিতে প্রচার চলছিল। ওই সময় তো সুমনা হকের কণ্ঠে ‘প্রিয় প্রিয় প্রিয় সুন্দরী প্রিন্ট শাড়ি’ অনেকের মুখে মুখেই ফিরেছে। কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির পর নতুন এক মৌসুমীর যাত্রা শুরু হয়। আমি নিজেই অবাক হতাম। প্রথম ছবি করার পরই মানুষের এত ভালোবাসা পেলাম।

সালমান শাহর পর নায়ক হিসেবে কার সঙ্গে অভিনয় করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন?

সালমান শাহ ও আমি একই স্কুলের স্টুডেন্ট ছিলাম। শুটিং করতে এসেই জানতে পারি, আমরা একই স্কুলের। তাই ওর সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটা অন্যরকম ছিল। এই বন্ধুত্ব থেকেই কেয়ামত থেকে কেয়ামতের পর শিবলী সাদিকের ‘অন্তরে অন্তরে’, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘স্নেহ’ এবং শফি বিক্রমপুরীর ‘দেনমোহর’- চারটি ছবিতে অভিনয় করেছি। এরপর তার সঙ্গে আমার আর অভিনয় করা হয়ে ওঠেনি। সালমানের পর বলা যায় কম-বেশি সবার সঙ্গেই অভিনয় করেছি। যার সঙ্গেই জুটি বেঁধেছি, বেশ উপভোগ করেছি। ওমর সানীর সঙ্গে কাজ করে করে তো তার জীবনসঙ্গীই হয়ে গেলাম। চলচ্চিত্রের পর এখন তো সে আমার জীবনেরও নায়ক। এর বাইরে আরও রয়েছেন মান্না ভাই আর ফেরদৌস। এ ছাড়া ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই, রুবেল ভাইয়ের সঙ্গেও বেশকিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। সবার সঙ্গেই স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেছি।

দুই যুগের ক্যারিয়ারে কোন কাজটি মনে দাগ কেটে রয়েছে?

এ পর্যন্ত অনেক ছবিতেই কাজ করেছি। একেকটি চলচ্চিত্র একেক কারণে মনে দাগ কেটে আছে। তাই একটি বা দুটি চলচ্চিত্রের নাম বললে বেশ নিষ্ঠুরতাই হবে বলে আমার মনে হয়। এতটা নিষ্ঠুর নিজের অভিনীত চলচ্চিত্রের প্রতি হওয়া যাবে না। তবে প্রথম ভালোবাসাই সবার কাছে সেরা ভালোবাসা মনে হয়। আমার চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারের প্রথম কাজটিই আমার জন্য আশীর্বাদ। তাই এখনও কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির দৃশ্যগুলো মনে ভেসে ওঠে।

একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে কতটা পূর্ণ মনে করেন?

সত্যিকারের একজন শিল্পী অভিনয়ের পথচলায় নিজেকে কখনই পরিপূর্ণ মনে করেন না। আর এ অপরিপূর্ণতা নিয়েই কিন্তু একসময় এ পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান। শিল্পীমনে নতুন নতুন চরিত্রে কাজ করার আকাক্সক্ষা থেকেই যায়। আমারও সেই অতৃপ্তি আছে, চ্যালেঞ্জিং আরও নতুন চরিত্রে কাজ করার ক্ষুধা আছে। হ্যাঁ, এটা সত্যি, একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করে সাময়িক সময়ের জন্য ক্ষুধা নিবারণ হয়, কিন্তু পরে আবার সেই ক্ষুধা সৃষ্টি হয়। শিল্পীমন এমনই। যে বয়সে যে চরিত্রে কাজ করা প্রয়োজন তা করতে না পারলেও আজীবন ক্ষুধা থেকে যায়। আমি এমনভাবে চলচ্চিত্রে কাজ করে এসেছি যে সময়ে, যে বয়সে, যে চরিত্রে অভিনয়ের আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছে, করার চেষ্টা করেছি। যে কারণে আমার বয়স, মন-মানসিকতার সঙ্গে যায় এমন চরিত্রে কাজ করেছি। সেসব কাজ দিয়ে দৃষ্টান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তবে পূর্ণতা পাবে যদি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, সমাজের অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারি।
মৌসুমী
এই অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য কি জাতীয় রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা রয়েছে?

আমার স্বামী যদি চান এবং যদি কখনও মনে হয় যে জাতীয় রাজনীতিতে আসা যেতে পারে, তখন এটা নিয়ে ভাবতে পারি। তবে তারও আগে এর ওপর আমার অনেক পড়াশোনাও করতে হতে পারে। যা-ই করি না কেন, একটু ভেবেচিন্তেই করতে হবে। সত্যি বলতে কী, এ বিষয়টি নিয়ে এখনও তেমন কিছু ভাবিনি।

কী ধরনের চরিত্রের প্রতি এখন দুর্বলতা কাজ করে?

আমি আক্ষেপ রাখতে পছন্দ করি না। এমন অনেক কিছুই আছে, যা আমার জীবনে হওয়ারই কথা নয়, অথচ আমি তা পেয়ে বসে আছি। তাই আমার কোনো আক্ষেপ নেই। নিজেকে সংসার জীবনে এবং ক্যারিয়ারেও একজন সফল স্ত্রী, সফল মা এবং সফল নায়িকা-অভিনেত্রী মনে করি। সত্যি বলতে কী, আমরা আর ক’দিনইবা বাঁচব। তাই কোনো কিছুর জন্য আক্ষেপ করে তো লাভ নেই। সবসময়ই নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতিযোগিতা করি। যে কারণে নিজেকেই আপডেট রাখার চেষ্টা করি। সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। কখনও পিছিয়ে থাকতে হয় না আমাকে। সংসার জীবনে স্বামী, সংসার, সন্তানকে যেভাবে সময় দিতে হয়, দেয়ার চেষ্টা করি। সব মিলিয়েই কিন্তু আমি একজন পরিপূর্ণ নারী, পরিপূর্ণ মানুষ। এখন কোনো ধরনের চরিত্রের প্রতি দুর্বলতা নয় বরং যে চরিত্রটিতে কাজ করি সেটিকে দুর্লভ ভেবে কাজ করার চেষ্টা করি। যেন ভালো হয়।

এখন তো নায়িকাদের নানামুখী স্ক্যান্ডালের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিষয়গুলো আপনি কীভাবে সামলেছেন?

নায়িকার সব কিছু নিয়েই ভক্তদের আগ্রহ। তাই নায়িকাকে খুব হিসাব করেই পা ফেলতে হয়। আমি কখনই স্ক্যান্ডালকে গুরুত্ব দিইনি। স্ক্যান্ডালকে সবসময়ই তা দর্শক পর্যন্ত রেখেছি, ব্যক্তিজীবনকে তা স্পর্শ করতে দিতাম না। তা ছাড়া আমরা যারা মোটামুটি একসঙ্গে কাজ করতাম তারা সপ্তাহের দুই-তিন দিন পারিবারিক আড্ডায় মেতে উঠতাম। যে কারণে আমরা একে অন্যকে খুব ভালোভাবে জানতাম, চিনতাম। তাই সেসব স্ক্যান্ডাল বিশ্বাস করার কারণ ছিল না। এমনও সময় গেছে যে তখন রাত দুইটা বাজে, মান্না ভাই হঠাৎ বাসায় চলে এলেন। সানী ও আমার ঘুম ভাঙালেন। কারণ একটি ভালো গল্প তার মাথায় এসেছে, রাতেই গল্পটা তিনি শোনাতে চান। আমরা উঠলাম, আবার শুরু হল রান্নাবান্না, গল্প, আড্ডা। তো, এই বিষয়গুলো আমাদের নিজেদের গণ্ডির মধ্যে ছিল। আমাদের মধ্যে এত চমৎকার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল যে, এসব বিষয় নিয়ে স্ক্যান্ডাল করার সুযোগই ছিল না। আর এখন তো সবাই সব কিছু প্রকাশ করে দিচ্ছে। নায়িকা কার সঙ্গে ডিনার করছে ফেসবুকের কল্যাণে সবই দর্শকরা জেনে যাচ্ছেন। এতে করে দর্শকদের মনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়ে। নায়িকাকে নিয়ে নানা স্ক্যান্ডাল তাদের মাথায় আসে। আমরা এ ধরনের বিষয়গুলো হিসাব করে চলেছি।

চলচ্চিত্রের ব্যবসার কারণেও অনেক সময় প্রযোজকরা স্ক্যান্ডাল করিয়ে থাকেন শোনা যায়?

এখন হয় কিনা জানি না, তবে আগে চলচ্চিত্রের প্রযোজক স্ক্যান্ডাল করাতে চাইতেন, যাতে তার সিনেমাটির ভালো ব্যবসা হয়। আবার এমনও দেখা গেছে জুটি হিসেবে কেউ স্থায়ী হয়ে যাচ্ছেন সেই জুটি ভেঙে দেয়ার জন্য কিংবা নায়ক-নায়িকার ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য স্ক্যান্ডাল করা হতো। আমি এসবের ধারেকাছেও ছিলাম না।

চলচ্চিত্রের রাজনীতি কীভাবে সামলেছেন?

চলচ্চিত্রের রাজনীতি যে আমি বুঝি না, তা কিন্তু নয়। কিন্তু এর সঙ্গে নিজেকে জড়াইনি কখনও। আমাকে নিয়ে চলচ্চিত্রে যেসব রাজনীতি হতো কিংবা যেসব প্রশ্ন উঠত, আমার কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর জানা ছিল। চাইলেই উত্তর দিতে পারতাম। কিন্তু দিতাম না। কারণ আমি শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। এসব রাজনীতি নিয়ে ভাবার সময় ছিল না। তা ছাড়া কারও প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য বাধ্যও ছিলাম না। আমাকে প্রশ্ন করে যদি কারও উত্তর পেতে হতো তা হলে তাকে অনেক চেষ্টা করতে হতো। উত্তর যে নিশ্চিত পেত তাও কিন্তু নয়। তাই চলচ্চিত্রের রাজনীতিকে কখনই আমলেও নিইনি। নিজের কাজেই মগ্ন ছিলাম।

আপনাকে সবাই প্রিয়দর্শিনী নায়িকা হিসেবে সম্বোধন করেন। বিষয়টি আপনাকে কতটা আনন্দ দেয়?

সময় এতটাই চলে গেছে জীবনের, ভাবলে অবাক হই। আবার সময় এমন ভাবে চলে গেছে, এখন আমাকে আমার পরবর্তী প্রজন্মের কেউ আদর্শ মনে করছে। বিষয়টি যদিও অনেক ভালোলাগার, উচ্ছ্বাসের। কিন্তু তারপরও মনে মনে ভাবি, আমি কী আসলেই এমন কেউ কি হতে পেরেছি যে আমাকে আদর্শ মনে করবে! এখন আবার সবাই প্রিয়দর্শিনী বলে ডাকছে। বিষয়টি আমার কাছে ভালোই লাগে।

স্বপ্নের চলচ্চিত্র বা চরিত্রে অভিনয় করা হয়েছে কি?

স্বপ্নের চলচ্চিত্র বা স্বপ্নের চরিত্রে এখনও কাজ করা হয়ে ওঠেনি। তবে এখনই স্বপ্নের চরিত্রটি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। স্বপ্নের কথা বলে দিলে তো অন্য কেউ সেটি নিয়ে নেবে। তাই সেটি আমার কাছেই থাক। স্বপ্নের চরিত্রে যদি কাজ না করতে পারি, তা হলে আমি নিজের হাতে সেই স্বপ্নের চরিত্রটি সৃষ্টি করব, আমি নিজেই সেই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করব।

তা হলে আবারও নির্মাণে আসছেন?

দীর্ঘদিন ক্যামেরার সামনে আছি। তাই পেছনের কাজ করার একটা অভিজ্ঞতাও হয়েছে। এ অভিজ্ঞতা কাজেও লাগিয়েছি। আবারও নির্মাণে আসব। তবে এখনই নয়। এটি নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। প্রস্তুত হয়ে সময় ও সুযোগ করে আবারও ক্যামেরার পেছনে নেমে পড়ব।

চলচ্চিত্র ফোরাম নামে গত বছর একটি সংগঠন হয়েছে। আপনিও আছেন সেই সংগঠনে। সেই সংগঠনের আপডেট কী?

চলচ্চিত্র বাঁচাতে চলচ্চিত্র ফোরাম গঠন করা হয়েছে। এই সংগঠন কারও বিপক্ষে নয়, কাউকে ছোট করতে নয়। যেসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল তা রোধ করতে চলচ্চিত্র ফোরাম গঠিত হয়েছে। আমরা সবাই চলচ্চিত্রের উন্নতি চাই। চলচ্চিত্র বাঁচলে শিল্পীরা বাঁচবে, সিনেমা হল বাঁচবে। এই ফোরামের সবাই নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত। চলচ্চিত্রের কোনো সমস্যা হলে ফোরাম দেখবে। তাই ফোরাম নিয়ে ক্যাম্পেইন করার কিছু নেই। সময় হলেই ফোরাম তার কাজ দেখাবে।
এ এম বি । পি এন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)