বাংলালিংক প্রথাগত পোশাক পরিধানে কোনো কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেনি

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১২:৫৬ পিএম, ৩ জুন ২০১৮

ছবিঃ সংগ্রহিতপ্রথাগত পোশাক পরিধানের কারণে বাংলালিংক কখনো কোনো কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেনি বলে জানিয়েছেন বাংলালিংকের কর্পোরেট কমিউনিকেশনস সিনিয়র ম্যানেজার আঙ্কিত সুরেকা।

বাগেরহাটে পাঞ্জাবি-টুপি পরে অফিসে আসায় বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি সরদার আল মারজান চাকরিচ্যুত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা জানান।

আঙ্কিত সুরেকা বলেন, বাংলালিংক প্রথাগত পোশাক পরিধানের কারণে কোনো কর্মীকে কখনো চাকরিচ্যুত করেনি। সম্প্রতি একটি সংবাদ আমাদের নজরে এসেছে যেটিতে বাংলালিংকের একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত আচরণ ও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে অভিযোগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলালিংক আচরণবিধির ব্যাপারে সব সময়ই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করার জন্য এই আচরণবিধি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি স্তরে প্রয়োগ করা হয়।

বাংলালিংকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সততা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের বৈষম্য প্রতিহত করার ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে শুরু করেছি। এই ক্ষেত্রে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত বাগেরহাটে পাঞ্জাবি-টুপি পরে অফিসে আসায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি সরদার আল মারজান। পাঞ্জাবি-টুপি পরিধান করে অফিস করার অপরাধে দুপুরে মারজানকে গালিগালাজ করে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন বাংলালিংকের জোনাল ম্যানেজার মো. আ. রায়হান উদ্দিন।

এ ঘটনায় মানহানি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে বাংলালিংকের জোনাল ম্যানেজার মো. আ. রায়হান উদ্দিনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন চাকরিচ্যুত মারজান।

মারজানের আইনজীবী জগৎ জীবন বসুর পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, সরদার আল মারজান ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২৩ মে পর্যন্ত বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড বাজার বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করে আসছেন।

রমজান মাস শুরু হলে ২৩ মে সরদার আল মারজান পাঞ্জাবি-টুপি পরিধান করে অফিসে যান। অফিসের নিয়মিত কাজ হিসেবে নিজের ছবি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করে সুপ্রভাত জানান।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঞ্জাবি-টুপি পরিহিত ছবি দেখে বাংলালিংকের জোনাল ম্যানেজার মো. আ. রায়হান উদ্দিন মোবাইলে মারজানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কোনো প্রকার মৌখিক বা লিখিত সতর্কবার্তা না দিয়েই পাঞ্জাবি-টুপি পরিধানের অপরাধে ওই দিনই মারজানকে চাকরিচ্যুত করেন জোনাল ম্যানেজার।

মারজান ও মো. আ. রায়হান উদ্দিনের কথোপকথনের রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে বলে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হযেছে।

এ ধরনের গালিগালাজ ও চাকরিচ্যুত করায় মারজান সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ জন্য তার মানহানি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান না করলে ৭ দিনের মধ্যে আদালতের আশ্রয় গ্রহণের কথা বলা হয় লিগ্যাল নোটিশে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে বাংলালিংকের জোনাল ম্যানেজার মো. আ. রায়হান উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।(সূত্রঃ যুগান্তর)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩ জুন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)