নারী নির্যাতনের অভিযোগে সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দুই কর্মচারী বরখাস্ত

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নারী নির্যাতনের অভিযোগে সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দুই কর্মচারী বরখাস্ত
সৌদিফেরত গৃহকর্মী রুনা লায়লার নির্যাতিত হওয়ার খবর প্রকাশের জেরে সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

গত ২৮ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টয়লেটে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রুনা লায়লা। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা (নং ৫০) করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। রুনা লায়লাকে আত্মহত্যার চেষ্টায় সহায়তা করার অভিযোগে দূতাবাসের চার কর্মচারী মো. লোকমান, মো. গোলাম, মো. ফাহাত ও মো. মেহেদী হাসানকেও আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদিফেরত গৃহকর্মী রুনা লায়লার নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস দুজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। গত কয়েকদিন বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ দূতাবাস অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এরই মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরি থেকে অপসারণসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, ‘সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং যেকোনও কর্মচারীর অনভিপ্রেত কর্মকাণ্ডের ব্যপারে জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করে দূতাবাস।’
প্রসঙ্গত, আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর কারণ হিসেবে রুনা লায়লা পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, সৌদিতে এক বাড়িতে আট মাস কাজ করে বেতন পাননি। দূতাবাসের একজন স্টাফ তাকে সাহায্য করার কথা বলে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দেশে ফিরে আসার সময় লাগেজ বুকিং দিয়েও ঢাকায় এসে পাননি। ওই লাগেজে চার লাখ টাকার মালামাল ছিল।
রুনা লায়না বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)