মঠবাড়িয়ায় ওসির অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মঠবাড়িয়া
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আন্তঃ স্কুল-মাদ্রাসা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালে মারধর ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা নেয়ায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা থানার ওসির মো. গোলাম ছরোয়ারের অপসারণ দাবি তুলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীরা ১৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে উপজেলা সদরে এসে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাশেদ হাওলাদার, জি.কে. ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর হোসাইন মোল্লা, এন.সি তমেজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, বিবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ও সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা শিক্ষক ও শিক্ষাদের নামে মামলা গ্রহণের নিন্দা জানিয়ে ওসির অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে খেলা কমিটির সচিব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের উপস্থিতিত্বে সাপলেজা মডেল স্কুল বনাম গুলিশাখালী জি.কে. ইউনিয়ন মাধমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুষ্ঠিত খেলাকে কেন্দ্র করে উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন শিক্ষার্থী খেলোয়ার আহত হয়।

এ ঘটনায় জি.কে. ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল চন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক জামাল হোসেন এবং ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আল আমীনসহ এজাহার নামীয় ১১জন ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক। কয়েক শিক্ষার্থী জখমের ঘটনায় বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)