পাথরঘাটায় ৪ ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৮:৩৫ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রুহি আনান দানিয়াল, সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট, মাহিদুল ইসলাম রায়হান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেনস ,মো. মাহমুদ
বরগুনার পাথরঘাটায় তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর মরদেহ গুমের চাঞ্চল্যকর ছাত্রলীগের ৪ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র (চার্জশীট) দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ধার্য তারিখে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম মামলাটি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বরগুনা নারী ও শিশু নিযাতন দমন আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. মাহমুদ, পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম রায়হান এবং পাথরঘাটা কলেজের নৈশপ্রহরী মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরও ২ জনের নাম ওই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেন উচ্চাদালত হতে জামিনে আছেন, ছাত্রলীগের ৪ নেতা জেল হাজতে রয়েছে এবং বাকী ২ জন পলাতক রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটায় তরুণী গণধর্ষণের পর হত্যা করে পাথরঘাটা কলেজের পিছনের পুকুরে লাশ গুমের চাঞ্চল্যকর পাথরঘাটা থানার ১২নং মামলাটি দীর্ঘ ১ বছর তদন্ত শেষে পাথরঘাটা উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের ৪নেতা, পাথরঘাটা কলেজের নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীরসহ আরও ২জনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০ তৎসহ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোডে অভিযোগে অভিযুক্ত করে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে বরগুনা জেলা ডিবি পুলিশ। বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযোগপত্রে আসামীদের মধ্যে কয়েকজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্থানান্তর করেন আদালত।

এদিকে দীর্ঘ ১ বছর পর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও ধর্ষণের পর হত্যার শিকার তরুণীর পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি ডিবি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো.বশির উদ্দিন বলেন, আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃক্ষসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গলিত তরুণীর মরদেহের ছবি পাঠিয়েছি, কিন্তু কোন স¦জন পরিচয় চায়নি। এমনকি রিমান্ডে বারবার চেষ্টা করেও আসামীদের মুখ থেকে তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, তদন্তকালীন আসামীদের মধ্যে কয়েকজন শিশু এমন কোন প্রমান পাওয়া যায়নি বা তাদের স¦জদের কাছ কেউ কম বয়স এমনটি দাবিও করেনি।

প্রসঙ্গতঃ ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট পাথরঘাটা কলেজের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১১ ও ১২ নভে¤¦র ১৬৪ ধারায় স¦ীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ ও নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)