অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল সিএমএইচে শঙ্কামুক্ত

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ৪ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ০২:৪৮ এএম, ৫ মার্চ ২০১৮

হাসপাতালে অধ্যাপক ড. ফাফর ইকবালঅনলাইন ডেস্কঃ
হামলার শিকার লেখক-শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি এখন শঙ্কমুক্ত।

এর আগে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ওসমানি মেডিকেল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে সিলেট বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে তাকে নিয়ে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শনিবার রাত ৯টার দিকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘জাফর ইকবাল এখন শঙ্কামুক্ত। ওনার জ্ঞান রয়েছে। শুধু রিপিয়ারের জন্য ওনাকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়েছে। তার মাথা ও হাতে চারটি আঘাত করা হয়েছে এবং তার শরীরে ২৬টি সেলাই পড়েছে।’

উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে শাবি ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন অধ্যপক জাফর ইকবাল। আহতাবস্থায় জাফর ইকবালকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে এ হামলা চালানো হয়। অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল বক্তব্য দিচ্ছেলেন। এ সময় পেছন থেকে তার মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়।

অধ্যাপক জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, মঞ্চের পেছন থেকে এসে এক ছেলে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ অন্যরা তাকে আটক করে। হামলাকারীর বয়স আনুমানিক ২৪-২৭ বছর।

কী কারণে জাফর ইকবালের উপর এই হামলা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৪ মার্চ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)