আগৈলঝাড়ায় স্কুল ছাত্রীর নগ্ন ছবি ছড়ানোর অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:২৮ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এই ছবিটি প্রতীকিবরিশালের আগৈলঝাড়ায় মোহনকাঠী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী স্কুল ছাত্রীর নগ্ন ছবি বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। লোকলজ্জার ভয়ে ও অঘটনের আশংকায় পরিবার সদস্যরা ছাত্রীকে নজরদারীর মধ্যে রেখেছে। প্রশাসনকে না জানিয়ে এ ঘটনার সালিশ-মিমাংসা করার জন্য একাধিকবার বৈঠকে বসেছিল কলেজ কমিটি, অধ্যক্ষ, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

ভূক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের মোহনকাঠী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থিনী (১৬)’র ছবি মোবাইলফোনে তোলে তার সহপাঠী থানেশ্বরকাঠী গ্রামের উত্তম জয়ধরের ছেলে অভিষেক জয়ধর (১৭)। প্রযুুক্তির অপব্যবহার করে ওই স্কুল ছাত্রীর ছবি এডিট করে নগ্ন বানিয়ে সেই ছবি বন্ধুদের মোবাইলফোনে ছড়িয়ে দেয় অভিষেক। সম্প্রতি ঘটনা জানাজানি হলে ওই স্কুলছাত্রী লোকলজ্জায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে স্কুলে যাওয়া ও প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। অঘটনের আশংকায় তাকে চোখে চোখে রাখছেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। প্রশাসনকে না জানিয়ে এ ঘটনার সালিশ-মিমাংসা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।

এ কারণে ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর ওই কলেজের সভাপতি শাহীন আলম টেনু সন্যামতের নেতৃত্বে অধ্যক্ষ ফকরুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার কক্ষে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তবে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সালিশ-মিমাংসা বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার সাথে এলাকার আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে অভিষেক জয়ধর সালিশদের জানায়।

এ ব্যাপারে মোহনকাঠী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শাহীন আলম টেনু সন্যামত সাংবাদিকদের কাছে ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা মিমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সালিশ বৈঠকে বসা হয়েছিল। তবে শুক্রবার পুলিশ যাওয়ায় তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে থানা পুলিশকে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। ছাত্রীর পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ গিয়ে সাজানো সালিশ-মিমাংসা বন্ধ করে দেয়।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৬ সেপ্টেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)