আমতলীতে স্কুলের ছাদ ধসে আহত ৭

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আমতলীতে স্কুলের ছাদ ধসে আহত ৭বরগুনার আমতলী উপজেলার পাতাকাটা নুরুল হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার () দুপুর ১২ টার দিকে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, উপজেলার পাতাকাটা নুরুল হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করে। শুরুতেই নিম্নমানের কাজ করায় ভবন ছিল নড়বড়ে। মঙ্গলবার সকালের সিফট শেষে দুপুর ১২ টায় দ্বিতীয় সিফট শুরু হয়। দ্বিতীয় সিফটে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশের পরেই বিকট শব্দে ভবনের পাচটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ও সুরকি ধসে পরে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দৌড়ে বিদ্যালয় ভবনের বাহিরে বের হয়ে যায়।এতে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া, উসমিতা, মরিয়ম, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইমন ও ওবায়দুল্লাহসহ ৭ জন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পাঁচটি কক্ষের সবকটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ও সুরকি ভেঙ্গে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ও মেঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ছাদ ও ভীমগুলো থেকে পলেস্তারা ও সুরকি পরে রড বের হয়ে গেছে। আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করছে না।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশামনি, তিশা, লিমন ফকির, মারুফা, ইমন চন্দ্র ও নাঈম জানান, ক্লাসে প্রবেশের পরপরই বিকট শব্দে ভবনের ছাদের পলেস্তারা ও সুরকি খসে পড়ে। আমরা দৌড়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে কোন মতে রক্ষা পেয়েছি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুনীল চন্দ্র মন্ডল ও রেকসোনা লাইজু বলেন, বিকট শব্দে একই সাথে ভবনের চারটি কক্ষের পলেস্তারা ও সুরকি খসে পরে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ডাক চিৎকার দিয়ে ভবন থেকে বের হয়ে যায়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ বিলকিস নাহার বলেন, বিদ্যালয় ভবন ধসের খবর তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। এ ভবনে আর ক্লাস নেয়ার কোন পরিবেশ নেই।

আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, ওই ভবনে ক্লাস করার উপযোগী নেই। আপাতত পার্শ্বে টিন সেটে ক্লাস নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৮ সেপ্টেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)