পাথরঘাটায় নৌকা বহর নিয়ে সাগরে জেলেদের ব্যতিক্রমই মানববন্ধন

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৯:২৬ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৮

নৌকা বহর নিয়ে সাগরে জেলেদের ব্যতিক্রমই মানববন্ধনবৈধ জাল ব্যবহার করে হয়রানীমুক্ত ও অবাধে নদত মাছ শিকারের দাবিতে ২ শতাধিক নৌকা বহর নিয়ে ব্যতিক্রমই মানববন্ধন করেছে মৎস্যজীবী জেলেরা।

শনিবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিষখালী ও পায়রা নদীর মোহনায় এ ব্যতিক্রম কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে অন্তত ২০০ এর বেশি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় প্রায় ১ হাজার জেলে শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে একশ বছর ধরে পুর্ব পুরুষ থেকে দড়ি জাল বাইচ করে জীবিকা নির্বাহ করে। হঠাৎ সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটার নতুন বাজার এলাকায় জেলা পুলিশের আয়োজনে মৎস্যজীবী, ট্রলার মালিক, আড়তদার সমিতির সদস্য এবং লঞ্চ মালিক প্রতিনিধির সাথে মতবিনিময়কালে শত বছরের পেশা দড়ি জাল অবৈধ বলে ঘোষনা দেয়ায় পথে বসর উপক্রম এ অঞ্চলের জেলেদের।

বিষখালী ও পায়রা নদীতে নৌকা বহরে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলে শহিদুল ইসলাম, আ. আজিজ ফকির, খোকন, আনিছুর রহমান, জাফর মিয়া, আফজাল হোসেন, পারভেজ প্রমুখ।

তারা অভিযোগ করেন, আমাদের পুর্ব পুরুষ থেকে এ পেশার সাথে জড়িত। বৈধ জাল হওয়ায় স¦ত্বেও বড় বড় ট্রলার মালিকদের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দড়ি জাল বাইচ করতে নিষেধ করেছেন। তারা আরও বলেন, বৈধ জাল দিয়ে এসব নদীতে অন্তত ১২ থেকে ১৫ হাজার ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকার মালিক এবং কয়েক হাজার জেলে পথে বসে যাবে। না খেয়ে মরতে হবে এ পেশায় জড়িত জেলেদের।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. কবীর মাহমুদ বলেন, আমরা শুধুমাত্র খুুঁটা ব্যবহার করে জাল ফেলে মাছ শিকারকে আইনগতভাবে অবৈধ ঘোষণা করেছি। এছাড়া সঠিক ইঞ্চি মাপ ও সঠিক সুতার জাল দিয়ে মাছ শিকারে আইনগত কোনো বাঁধা নেই। কোনো মহল যদি আমাদের দোহাই দিয়ে জেলেদের যদি অন্যায়ভাবে হয়রানী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১০ নভেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)