বিরতি ভেঙে সাদা পোশাকে ফিরছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০১:১৭ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

মাশরাফি বিন মর্তুজা
অনলাইন ডেস্কঃ ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোটে পড়ার পর থেকেই বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে অনিয়মিত মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন কালেভদ্রে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক সবশেষ চারদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে। নয় বছরে ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই পেসার আবার ফিরছেন সাদা পোশাকে। বিরতি ভেঙে মঙ্গলবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া বিসিএলের শেষ রাউন্ডে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে নামবেন দক্ষিণাঞ্চলের এই ক্রিকেটার।

উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল ম্যাচেই হবে বিসিএলের শিরোপা নির্ধারণ। টানা দুইবার শিরোপা জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে জহুরুল, নাজমুল, আরিফুল, তাইজুলরা। পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬০। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণাঞ্চলের ৪৭ পয়েন্ট। উত্তরাঞ্চলের টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয় ঠেকাতে হলে হোম ভেন্যুতে মাশরাফী, সোহান, বিজয়, তুষার, রাজ্জাকদের করতে হবে অতি নাটকীয় কিছু। জেতার সঙ্গে পেতে হবে পূর্ণ বোনাস পয়েন্ট।

শিরোপার স্বপ্ন না দেখে উত্তরাঞ্চলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ভাবছেন কীভাবে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখে রানার্সআপ হওয়া যায়। সোমবার ম্যাচের ভেন্যুতে অনুশীলন শেষে সোহান বলেন, ‘আমাদের শিরোপা জয়ের পথ খুব কঠিন হয়ে গেছে। সবগুলো বোনাস পয়েন্ট পেতে হবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে কীভাবে দ্বিতীয় অবস্থানটা মজবুত করা যায়।’

শেষ রাউন্ডের অপর ম্যাচে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল। দুটি দলের মাঝে পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র এক। মধ্যাঞ্চল ৪২ আর পূর্বাঞ্চলের ৪১।

উত্তরাঞ্চলের শক্তির জায়গা পেস বোলিং। শফিউল ইসলাম ছাড়াও তরুণ দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও ইয়াসিন আরাফাত আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। মিরপুরে শেষ ম্যাচে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে গতির ঝড় তুলে সাতটি করে উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তারা। ম্যাচের তৃতীয় দিনে দু’বার অলআউট করে ইনিংস ব্যবধানে জেতে উত্তরাঞ্চল। ওই ম্যাচে জয়ের ১০ পয়েন্টের সঙ্গে ৯ পয়েন্ট বোনাস পায় জহুরুল-নাজমুলরা। আর তাতেই শিরোপার খুব কাছে চলে এসেছে দলটি।

উত্তরাঞ্চলের পেস আক্রমণ শক্তিশালী হলেও মাশরাফী যোগ দেয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের পেস আক্রমণ সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন সোহান। মাশরাফীর সঙ্গে নতুন বলে জুটি বাধবেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।

স্পিন আক্রমণে উত্তরাঞ্চলে তাইজুল ইসলাম আর দক্ষিণাঞ্চলের আব্দুর রাজ্জাক।

বোলারদের নিয়ে যত কথাই হোক খুলনার উইকেট সবসময়ই কথা বলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জন্য আড়াই মাসের বিরতি পড়ার আগে বিসিএলের সবশেষ রাউন্ডে এখানে হয়েছিল রানের বন্যা। এক ম্যাচেই হয়েছিল ছয় সেঞ্চুরি। যার মধ্যে জাকির হাসান তার সেঞ্চুরিটি ডাবলে (২১১) রূপ দেন। হাফ সেঞ্চুরিও হয়েছিল ৬টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ (৭৩৫/৬) এসেছিল সেই ম্যাচে।

দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিজয়, ইমরুল, মিঠুন, মোসাদ্দেক, সোহান। উত্তরাঞ্চলের জুনায়েদ, মিজানুর, নাজমুল, জহুরুল, আরিফুলরা।

শেষ ম্যাচ, শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চ, জাতীয় দলের খেলা না থাকায় দুই দলেই তারকা ক্রিকেটারের উপস্থিতি সব ছাপিয়ে এই ম্যাচে স্পটলাইটে মাশরাফি বিন মর্তুজা। টেস্ট খেলার স্বপ্ন যে তার এখনও জাগরূক সেটিই প্রমাণ করে ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের চারদিনের ম্যাচ খেলার ইচ্ছা।

প্রিমিয়ার লিগে সাদা বলে দুর্দান্ত বোলিং করা মাশরাফী লাল বলে কেমন করেন সেটি জানার কৌতূহল ক্রিকেটভক্ত থেকে শুরু করে নির্বাচক, বোর্ড কর্তাদের। পরীক্ষায় এবার পাশ করলে যে টেস্টের ভাবনায়ও চলে আসতে পারেন লড়াইল এক্সপ্রেস! জুনের শেষ সপ্তাহে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ। টেস্ট দিয়ে শুরু হবে পুর্ণাঙ্গ সিরিজ।
এ এম বি । পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)