যারা বয়স লুকিয়ে রাখে আমি মনে করি এটা একটা আনস্মার্টনেসঃ মৌসুমী

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০২:১৫ এএম, ৮ মে ২০১৮

মৌসুমী-০০১
চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বয়স কত? তাকে দেখে ধন্দে পড়ে যাবেন অনেকে। বলবেন, বড়জোর পঁয়ত্রিশ! কিন্তু দুই প্রজন্মকে এক সুতায় গাঁথা এ নায়িকা কাগজ-কলমে চুয়াল্লিশ পেরিয়েছেন। জানালেন, কিশোরী থেকে চল্লিশোর্ধ-সব বয়সের সৌন্দর্যই তার কাছে দারুণ উপভোগ্য।

চুয়াল্লিশ বছর বয়সটা কীভাবে উদযাপন করছেন?

মৌসুমীর সহজাত উত্তর, “প্রত্যেকটা বয়সেরই আলাদা একটা সৌন্দর্য রয়েছে। বয়সটাকে উপভোগ করছি। অনেকে আবার বয়স লুকিয়ে রাখে। আমি মনে করি এটা একটা আনস্মার্টনেস। বয়স আর অভিজ্ঞতা লুকিয়ে রাখা আমি মনে করি অনভিজ্ঞতার বড় একটা অংশ।”

১৯৭৩ সালে জন্ম নেওয়া এ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের বয়স প্রায় দুই যুগ। এখনো দর্শকমহলে নিজের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখেছেন। গ্ল্যামার আর ফিটনেসে হালের নায়িকাদের চেয়ে কোনো অংশেই কম নেই। বরং দিনকে দিন বয়সই হার মেনেছে তার কাছে!

সালমান শাহর বিপরীতে নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় এ অভিনেত্রীর। প্রথম সিনেমা দিয়েই রাতারাতি তারকা খ্যাতি অর্জন করেন। সাধারণ সেই তরুণী থেকে জায়গা করে নেন লাখো তরুণের হৃদয়ে।
মৌসুমী৫
শোনালেন নিজের ক্যারিয়ারের উত্থানের গল্প, “সাধারণ একটা মেয়ে ছিলাম। একটা ছবিতে কাজ করব। সবাই দেখবে, ভালো বলবে। নিজের আলাদা একটা পরিচয় হবে-এটুকু পর্যন্ত স্বপ্ন দেখতে পেরেছি। কিন্তু তারপর যে সব ঘটে গেছে সেগুলো স্বপ্নের বাইরে ছিল।”
মৌসুমী ৪
অভিনয় শুরুর আগে আদর্শ মানতেন শাবানা ও ববিতাকে। পরবর্তীতে নায়িকা শাবনাজের অভিনয় দেখে অনুপ্রাণিত হন। শাবনাজের ‘চাঁদনী’ ও ‘দিল’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখার পর তার মনে হলো, শাবনাজ পারলে আমি কেন পারব না?
মৌসুমী ৩
দিনে দিনে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। অভিনয় শুরুও করেছেন। মনোবলের কারণেই আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছেন বলে মনে করেন তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, দর্শকদের ভালোবাসা।
মৌসুমী ২
দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে বললেন, “দীর্ঘ শিল্পীজীবনে এত এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, এর কোনো হিসেব মেলাতে পারি না। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি কি আসলেই এত বেশি ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য? যে মানুষটিকে আমি চিনি না, জানি না, সে মানুষটিই আমার অজান্তে আমাকে এতো ভালোবাসতে পারে! ভাবতেই অবাক লাগে। আবার ভাবি, এরকম ভালোবাসা একজন শিল্পীর প্রতি আছে। হতে পারে। এরকম হয় বোধ হয়।”

জীবনের প্রাপ্তির-অপ্রাপ্তির গল্পের ফাঁকে কিছু অভিমান আর ক্ষোভও উঠে এলো তার কণ্ঠে।

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে চলমান গ্রুপিংয়ের সমালোচনা করে তিনি বললেন, “শিল্পী সমিতির কাজ হচ্ছে শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করা। এই সমিতি সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে ফুল দেওয়া আর চামচামিতে ব্যস্ত। আমার কাছে মনে হয়েছে, লিয়াজো মেইনটেইন করার দরকার আছে, কিন্তু সবার আগে দরকার শিল্পীর স্বার্থ রক্ষা করা। এই সমিতি সেটা করছে না।”
মৌসুমী
তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। পরবর্তীতে নবগঠিত চলচ্চিত্র ফোরামের আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)