জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকারা

মুনা জাহান
মুনা জাহান, বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ৫ অক্টোবর ২০১৮

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকারাদেশব্যাপী বইছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই হাওয়া লেগেছে মিডিয়ার তাকরাদের গায়েও। তাদের মধ্যে অনেকে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছেন।

নির্বাচন করা একটি দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার। সেই অধিকারের বলেই এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলেও মনোনয়নে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বেশ কয়েকজন তারকা। এরই মধ্যে অনেক তারকা নিজের নির্বাচনী এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা-সমাবেশ।

আগামী নির্বাচনে প্রার্থিতা ও নির্বাচনী কার্যকলাপে নিজকে কোথায় দেখতে চান- তা নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন। লিখেছেন এফ আই দীপু ও হাসান সাইদুল

এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা চিত্রনায়ক সোহেল রানা (মাসুদ পারভেজ)। বর্তমানে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। তার রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে, দলের প্রধানের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হওয়া। সে হিসেবেই তিনি কাজ করেন। এ

বারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বর্তমানে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে পার্টির প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তই হচ্ছে সবকিছু। তিনি গত নির্বাচনে আমাকে অন্য কাজে ব্যবহার করেছিলেন। এবারও যদি সেরকম কিছু হয় আমি তাই করব। কিন্তু তিনি যদি চান যে নির্বাচনে প্রার্থী হতে, তাহলে আমি হব।’

জনপ্রিয় ও প্রবীণ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আওয়ামী লীগ সমর্থিত একজন কর্মী। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাকে নিয়মিত দেখা যায়। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ ও নেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। নির্বাচন করার আমার ইচ্ছা আছে।

তবে নেত্রী যদি চান আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আর না চাইলে আমি আওয়ামী লীগের পক্ষে আমার নির্বাচনী আসন থেকে যিনি মনোনীত হবেন তার পক্ষে কাজ করব।’ কেন নির্বাচনে অংশ নিতে চান এমন প্রশ্নের উত্তরে এ অভিনেতা বলেন, ‘অভিনয় করে আমি মানুষের ভালোবাসা অনেক পেয়েছি। এবার তাদের একেবারে পাশে থেকে কিছু দিতে চাই। তাদের সেবা করতে চাই। এ কারণেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি।’

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের সভাপতি জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ওরফে মিয়া ভাই। তিনি গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ-গাজীপুর মহানগর-সদর আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

আসছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নেত্রী যদি আমাকে উপযুক্ত মনে করে মনোনয়ন দেন তবে আমি নির্বাচন করব। দেশের জনগণকে আমার এখনও অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশ ও দশের জন্য কাজ করব।’

দেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনি। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গান লেখার মাধ্যমে দেশের মানুষের পাশে ছিলাম এবং থাকব।

আমি বিএনপি সমর্থিত একজন কর্মী। দেশের মানুষের সেবা করতে বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা আছে আমার। কোনো কারণে যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয়া হয় তাতে কোনো দুঃখ থাকবে না। আমি আমার দলকে ভালোবাসি, আমার নেত্রীকে ভালোবাসি।’

আওয়ামী লীগের ব্যানারে নীলফামারী-২ থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এমপি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নূর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন। দল ও নেত্রীকে ভালোবেসে এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চান। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান এ অভিনেতা।

এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারানা হালিম বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি। পাশাপাশি বর্তমানে তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য বহু আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

আসছে নির্বাচনে এই নাট্যাভিনেত্রী দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন। তবে আমার চেয়ে যদি তিনি অন্য কাউকে বেশি উপযুক্ত মনে করেন, তাহলে তার পক্ষেই কাজ করব। তবে আমি আবারও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।’

এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা কবরী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন। এবারও নিজ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী যদি আমাকে আবারও সুযোগ দেন তবে আমি সেই সুযোগ কাজে লাগাব।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারও নির্বাচিত হবে। কিন্তু নেত্রী আমাকে যদি মনোনয়ন না দেন তবে দলের পক্ষে কাজ করব। কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। মানুষের সেবা করাই আমাদের লক্ষ্য।’

ফোক সম্রাজ্ঞীখ্যাত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ আওয়ামী লীগের ব্যানারে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি। এর আগেও তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি ছিলেন। আসছে নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তিনি।

বর্তমানে এলাকাতে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়েও ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দল যদি মনোনয়ন দেন এবারও এলাকার মানুষের সেবা করার জন্য নির্বাচনে অংশ নেব। তবে দল যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেটা মেনে নিতে প্রস্তুত আছি।’

নাট্যাভিনেত্রী শমী কায়সার এখন আর অভিনয়ে সময় না দিলেও দর্শক জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। আগামী নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। নিয়মিত এলাকায় যান।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিজের ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘দলকে ভালোবাসি, নেত্রীর পাশেই আছি এবং থাকব। ইচ্ছা আছে আগামী নির্বাচনে নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইব। তিনি যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আর তিনি না চাইলে দলের পক্ষে থেকে কাজ করব।’

অনেক আগ থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কয়েকটি অঙ্গ-সংগঠনের বিশেষ দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশ ও দশের সেবা করতে আমি প্রস্তুত। নেত্রীর সঙ্গে আছি। কোনো কারণে যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয়া হয় তবে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করে নৌকাকে জয়যুক্ত করব।’

এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস আগ থেকেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত একজন কর্মী। তিনি যথারীতি নিজের নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ-১ (দৌলতপুর-ঘিওর-শিবালয়) এ আসা-যাওয়া করেন। এবার আওয়ামী লীগ দলনেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইবেন বলেও জানিয়েছেন।

যদি তাকে ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয় তবে তিনি মনোনীতের পক্ষে নৌকা মার্কাকে জয়ী করতে কাজ করে যাবেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এলাকায় যখন যাই, তখন দেখি মানুষ আমাকে কতটা ভালোবাসেন! মানুষের সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। তাদের সেবা করতে চাই।’

ব্ল্যাক ডায়মন্ডখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বেবী নাজনীন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। বর্তমানে দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জন্মস্থান নীলফামারীর-৪ আসনের (সৈয়দপুর এবং কিশোরগঞ্জ) তার নির্বাচনী এলাকা।

কেন্দ্রীয় রাজানীতির পাশাপাশি কয়েক বছর আগেই এলাকায় জনসংযোগ শুরু করেন তিনি। নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে বেবী নাজনীন বলেন, ‘আপাতত নির্বাচন এবং মনোনয়ন নিয়ে ভাবছি না। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাগারে আছেন আমাদের চেয়ারপারসন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে আমরা তার মুক্তির বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করছি না। আগে বেগম জিয়ার মুক্তি, পরে নির্বাচন।’

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা বিএনপির সমর্থক। দলটির পক্ষে এবারের নির্বাচনে তিনিও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। দলের শীর্ষ মহল থেকে জানা গেছে তার মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন।

নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে এ শিল্পী বলেন, ‘দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে আমি নির্বাচনে অংশ নেব। মানুষের সেবা করতে চাই। তাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’ এর মধ্যে কনকচাঁপা নিজ এলাকা ছাড়াও মফস্বলের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন।

বিএনপির প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সঙ্গীতশিল্পী মনির খান। বর্তমানে তিনি দলটির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনিও অংশ নিতে আগ্রহী।

নিজের নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিয়মিত নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নেত্রীর দেয়া দায়িত্বে বিশ্বাসী। আমি মনোনয়ন চাইব, তিনি যদি মনোনয়ন দেন তবে নির্বাচন করব আর আমাকে মনোনয়ন না দিলে অন্য যাকে দেবেন তার পক্ষে কাজ করব।’

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনিও অংশ নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে।

জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং সেখানে প্রার্থী দেয় তবে আমি এখান থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হব। তা ছাড়া দল থেকেও মনোনয়ন চাইব। দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেয় তবে তার পক্ষে কাজ করব।’

এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিল খান। বেশ আগে থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় তিনি। নিয়মিত নিজের নির্বাচনী এলাকা বাগেরহাট-৩ আসনে আসা-যাওয়া করছেন। আসছে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নেত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, যেন কাজ চালিয়ে যাই। আশা করছি তিনি আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’ কোনো কারণে দল যদি তাকে মনোনয়ন না দেয় তবে ওই আসনে যিনি প্রার্থী হবেন তার পক্ষে কাজ করবেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করতে পারেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সফরে সঙ্গী হয়ে আমেরিকায় যান এ অভিনেতা। সেখানে সরকারি অতিথি হিসেবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এই সফরকে কেন্দ্র করেই ফেরদৌসের নির্বাচনে অংশ নেয়ার খবর চাউর হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের মতে, আসছে নির্বাচনে ফেরদৌসকে যশোর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ওই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এরই মধ্যে নাকি আওয়ামী লীগের ওপর মহল থেকে গ্রিন সিগন্যালও পেয়েছেন। যদিও ফেরদৌসের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলায়।

যশোর সদরের ঘোপে তার শ্বশুরবাড়ি। তার শ্বশুর মরহুম আলী রেজা রাজু ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি সাংসদও ছিলেন ওই আসনের। তার পরিবর্তেই ফেরদৌস আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ, এসডি রুবেল, চিত্রনায়িকা শাবানাও অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। বিএনপি থেকে চিত্রনায়ক হেলাল খান ও কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন মনোনয়ন চান।

অন্যদিকে, কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর ও ন্যান্সির আগামী নির্বাচনে প্রার্থিতার কথা শোনা গেলেও তারা এ বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক নন। এ ছাড়া ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উঠলেও এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করেননি। এ মুহূর্তে শাফিন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

আমি ছোটবেলা থেকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। তার জীবনীই আমাকে রাজনীতিতে আসতে প্রভাবিত করেছে। দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন কনসার্টে গান গাইতে গেলে বুঝতে পারি মানুষ আমাকে কতটা ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতেই আমি রাজনীতিতে এসেছি।

রাজনীতির মাধ্যমেই মানুষের খুব কাছে যাওয়া যায়, তাদের সার্বিকভাবে সেবা করা যায়, তাদের পক্ষে কথা বলা যায়। তাই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। দল যদি মনোননয় দেয় তাহলে আমার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারব বলে আশা করছি।
মনির খান, সঙ্গীতশিল্পী

‘আমি যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্টেজ শো করতে যাই, তখন বুঝতে পারি আমার গান শুনে মানুষ আমাকে কতটা ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসা দেখে আমার মন কাঁদে। কারণ এই মানুষগুলোর জন্য আমি কিছুই করতে পারি না। তাদের জন্যই আমি আজকের কনকচাঁপা। তাই ভালোবাসার এই মানুষদের পাশে দাঁড়াতেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। জানি ভালোবাসার প্রতিদান দেয়া যায় না। তবে নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা হলেও সেই প্রতিদান দিতে চাই। এ কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি। নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করতে চাই।
কনকচাঁপা, সঙ্গীতশিল্পী

অভিনয় থেকে বিরতি নেয়ার পর থেকেই আমি এলাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করি। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখি। তাদের চাওয়া-পাওয়ার কথা শুনি। কিন্তু নিজের সীমিত সাধ্যের মধ্যে তাদের সব কষ্ট পূরণ করা হয়ে ওঠে না। এ কারণেই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। একমাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেই বৃহদাকারে আমি সাধারণ মানুষের সেবা করতে পারব। এবারের নির্বাচনে নেত্রী আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেবেন বলে আশা করছি। একটি আধুনিক ও তারুণ্যনির্ভর এলাকা গড়ার স্বপ্ন দেখছি আমি। মনোনীত হলে জয়ী হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের সঙ্গে থাকব।
শাকিল খান, অভিনেতা(সূত্রঃ যুগান্তর)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৫ অক্টোবর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)