সুস্থ থাকতে চাইলে আপেল খান

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ০৮:০৪ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৮

সুস্থ থাকতে চাইলে আপেল খানছোট-বড় সবার পরিচিত ফল আপেল। নিয়মিত তাজা ও বিষমুক্ত আপেল খাওয়া দারুণ উপকারী। ওজন কমাতে আমাদের চেষ্টার শেষ নেই। আবার মরণব্যাধি ক্যান্সারের কথাও আমরা জানি। ক্যান্সার মানেই তো মৃত্যুর কাছে পৌঁছে যাওয়া। এমনই মরণঘাতী রোগ যে রোগাক্রান্ত শরীরের অংশ কেটে ফেলেও রেহাই নেই। অথচ ক্যান্সার প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী আপেল। নিয়মিত আপেল খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও আপেল উপকারী।

সবল হার্টের জন্য
হার্টের জন্য আপেলকে কার্যকর ওষুধ বলা যায়। তা ছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখতে আপেল যথেষ্ট উপকারী। যারা প্রতিদিন দুটি আপেল খায় তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা অন্যদের চেয়ে কম থাকে।

ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ
ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেল যথেষ্ট কার্যকরী। যারা বেশি বেশি আপেল খায় তাদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অর্ধেক কমে যায়।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধক
আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক। এক গবেষণা দেখা যায়, যেসব মহিলা প্রতিদিন একটি আপেল খায় অন্যদের থেকে তাদের এই রোগটি হওয়ার আশঙ্কা ১৭ শতাংশ কমে যায়। আপেলের সংখ্যা যত বাড়বে স্তন ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কাও তত কমবে। প্রতিদিন তিনটি আপেল খেলে এই আশঙ্কা ৩৯ শতাংশ কমে যায়। সংখ্যাটা যদি ছয় হয় তাহলে সেই শঙ্কাটা নেমে আসে ৪৪ শতাংশে।

ওজন কমানো
ওজন কমাতে অনেকেই খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দেন। কিন্তু আপেল তাদের জন্য একটু হলেও স্বস্তির বিষয় হয়ে আসতে পারে। কেননা আপেল ওজন কমানোর লড়াইয়ে দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে যেসব মহিলা ওজন কমাতে চায় তারা দৈনিক তিনটি আপেল খেলে ডায়েট করার চেয়ে ভালো ফল পাবে।

অ্যাজমা প্রতিরোধে
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু প্রতিদিন আপেলের রস খায় অন্যদের থেকে তাদের এই রোগটি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। একই গবেষণায় দেখা যায়, যেসব মা সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় আপেল খায় সেসব মায়ের সন্তানেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৫ আগস্ট

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)