দেশে ফিরেছেন ৮০ হাজারহাজী ফেরত না এলে এজেন্সিকে অর্থদণ্ড

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:৪৫ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে নেয়াচলতি বছর পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার হাজী দেশে ফিরেছেন। সর্বশেষ ফিরতি ফাইট ২৬ সেপ্টেম্বর। বাকি ১২ দিনে আরো প্রায় ৪৭ হাজার হাজীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এ দিকে হজ শেষে হাজী ফিরতে বিলম্ব করলে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানালে ওই এজেন্সিকে হাজীপ্রতি এক লাখ সৌদি রিয়াল বা সাড়ে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের পাসপোর্ট বিষয়ক সাধারণ অধিদফতর।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর এক লাখ ২৬ হাজার ১৮৩ জন হজ পালন করতে যান। ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ মোট সৌদি আরব যান এক লাখ ২৭ হাজার ২৯৮ জন। হজ পালন শেষে গত ২৭ আগস্ট থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজীরা। প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি হাজী দেশে ফিরেছেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০৪টি ফাইটে মোট ৭৫ হাজার ৮৭০ জন হাজী দেশে ফিরেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৯৮টি এবং সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১০৬টি ফিরতি হজ ফাইটে দেশে ফিরেছেন হাজীরা। গতকাল শুক্রবার আরো ১৫টি হজ ফাইট পরিচালিত হয়। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ছয়টি এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের ৯টি ফিরতি ফাইট পরিচালিত হয়। এসব ফাইটে ৫ হাজারের বেশি হাজী দেশে ফিরেছেন।

হাজী ফিরতে বিলম্ব হলে জরিমানা :
সৌদি আরবের পাসপোর্টবিষয়ক অধিদফতর জানিয়েছে, সৌদি আরবে অবস্থানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কোনো হাজী ফিরে আসতে দেরি করলে এবং সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করলে ওই এজেন্সির অর্থদণ্ড হবে। যার পরিমাণ হাজীপ্রতি এক লাখ সৌদি রিয়াল বা সাড়ে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত। একাধিক হাজী সৌদি থেকে দেশে ফিরতে দেরি করলে প্রত্যেক হাজীর জন্য জরিমানা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে। সৌদি আরবের মক্কাস্থ হজ অফিস ইতোমধ্যে সব এজেন্সিকে বিষয়টি অবহিত করেছে বলে জানা যায়।

সৌদিতে ১২৬ বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু :
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে সর্বমোট ১২৬ জন বাংলাদেশী হাজী/হজযাত্রী ইন্তেকাল করেছেন। এদের মধ্যে ১০৫ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। এর মধ্যে মক্কায় ৭৯ জন, মদিনায় ১৪ জন, জেদ্দায় ৫ জন, মিনায় ১৮ ও আরাফাতে ১০ জন মারা যান। মক্কা থেকে প্রকাশিত হজ বুলেটিন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হজের আগের চেয়ে হজের পরেই বেশি হাজীর মৃত্যু হয়েছে। শুধু হজের পরের দিনই ১২ জন মারা গেছেন। আর বেশির ভাগ হাজীর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। বাংলাদেশ হজ মেডিক্যাল টিমের একাধিক চিকিৎসক জানান, বাংলাদেশী হাজীদের বয়স বেশি হওয়ায় একেকজন ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ফলে বয়োবৃদ্ধরাই বেশি সংখ্যায় মারা গেছেন।(নয়া দিগন্ত)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৫ সেপ্টেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)